গতকাল রবিবার, ৯ জুন বিকেলে উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের কোনারপাড়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জামালের নেতৃত্বে হোছাইন কোম্পানির ইট ভাটার পাশে কৃষি জমিতে বলী খেলার নামে চলছিলো রমরমা জুয়ার আসর। একপাশে চলছে নামে মাত্র বলী খেলা। আর একপাশে হৈ হুল্লোড় করে অনেকটা উৎসবের আবহে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। সন্ধ্যা ৬ টায় বলি খেলা শেষ হলেও রাত ৮টা পর্যন্ত চলছিলো জমজমাট জুয়ার আসর। ছয় গুটি, ডাব্বু খেলা, পয়সা খেলা, চাক্কি খেলা সহ সেখানে ৮টি স্টলে চলছিলো জমজমাট জুয়ার আসর। এসব আসরে জুয়া খেলায় মেতেছে শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ সহ সব বয়সের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রামুর বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও যুব সমাজ হুমড়ি খেয়ে পড়ে এসব জুয়ার আসরে। অনেকে লোভের ফাঁদে পড়ে জুয়ার বোর্ডে টাকা ফেলে নিঃস্ব হচ্ছে। এসবের কারণে রামুর যুবসমাজ বিপদগামী ও নৈতিক অবক্ষয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ, একটি স্বার্থন্বেষী মহল বলী খেলার নাম দিয়ে জুয়ার আসর বসিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন লোক দেখানো অভিযান চালালেও তারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার শুরু হয়ে যায় জুয়ার আসর।
বলী খেলার আয়োজক কমিটির প্রধান ইউপি সদস্য মো. জামাল জানান, জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে বলি খেলার অনুমোদন নিয়েছেন। একই সাথে জুয়া খেলা চালানোর কথাও নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান- বলী খেলায় জুয়ার আসর বসানোর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আয়োজক কমিটিকে ডেকে জুয়া বন্ধের জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: