মিয়ানমারের রাখাইনে একসঙ্গে মাটিচাপা দেওয়া চার রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মিয়ানমার সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অং সান সু চির কার্যালয় থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ৩টি মরদেহ নারীর এবং একটি পুরুষের। এ ঘটনায় তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছে সু চির কার্যালয়।
গত বছর ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এলাকায় সন্ত্রাসীদের সমন্বিত হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার হয়। দায় চাপানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর। শুরু হয় সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা দমন প্রক্রিয়া। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দাবি, জঙ্গি দমনে রাখাইন রাজ্যে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ চলছিলো।
১৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) মিয়ানমারে নবনিযুক্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং তুনকে উদ্ধৃত করে স্টেট কাউন্সেলর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল হয়েছে। সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ অভিযান শেষ হয়েছে। কারফিউ শিথিল করা হয়েছে এবং শান্তি রক্ষার্থে কেবল পুলিশ নিয়োজিত রাখা হয়েছে। তবে দুজন কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, শান্তি রক্ষার্থে সেখানে সেনাবাহিনী নিয়োজিত আছে।
সু চির কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার একদিন পর বৃহস্পতিবার লাশগুলো পাওয়া যায়। ওইদিন রাতে মাংদাউ শহরের উপকণ্ঠে লুফানপাইন গ্রামের পাশের মাঠের একটি গর্ত থেকে মরদেগুলো উদ্ধার করা হয়। পুরুষের মরদেহের ওপরের অংশে গভীর ক্ষত এবং মাথায় জখম দেখা গেছে। এ ছাড়া দুই নারীর পিঠে জখম। তাদের মেরুদণ্ড ভাঙা। সু চির কার্যালয়ের কর্মকর্তা জানান, কীভাবে এ খুনগুলো হয়েছে, তার তদন্তকাজ চলছে।
পাঠকের মতামত: