ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার :::
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার অজ পাড়া পল্লী গ্রামের একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্র নিয়মিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। ফোনে কথা বলা ছাড়ও ইন্টারনেট ব্যবহারেও পারদর্শি ওই শিক্ষার্থী। বাবা – মা -ই তাকে মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছেন বলে জানান তিনি। এই শিক্ষার্থী বলেন তার শ্রেণীতে অনেকেই মোবাইল ফোন সেট ব্যবহার করে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসের বিরতিতে কিংবা টিফিন টাইমে লুকিয়ে লুকিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলে। এদের অনেকেই আবার মোবাইলে খারাপ ছবি ও দেখে এবং অন্যদের দেখতে উৎসাহিত করে। চিত্রটি শুধু টেকনাফ নয়, কক্সবাজারসহ সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের একই অবস্থা। এক সময় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়তো। এখন তারা মোবাইল টিপতে টিপতে গভির রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। ব্লগ, ফেইসবুক ও টুইটার ব্যবহারের কারণে শিশু- কিশোর – কিশোরী অতরুণদের ধ্যান-জ্ঞান হয়ে পড়ছে মোবাইল। এতে করে মেধা বিকাশের যে বই পড়া অপরিহার্য সেটা ক্রমশই কমে আসছে । দেশের শহর থেকে শুরু করে একে বারেই অজপাড়া গাঁয়েও শিশু-কিশোরদের হাতে থাকে মোবাইল ফোন। এসব শিশু মোবাইলে ছবি তোলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। অভিভাকরা সন্তানের আবদার পূরণের জন্য কোমলমতি এইসব শিশুদের হাতে আতœ বিধ্বংসী এই যন্ত্রটি তুলে দিলেও কেউকি একবার ভাবছেন? এতে সন্তানের লাভের চেয়ে ক্ষতি কত বেশি হচ্ছে। জানাগেছে, বিশে^র উন্নত দেশগুলোতে ১৮ বছরের কম বয়সীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। । শিক্ষার্থীদের জীবন মান নিয়ে গবেষণা করেন, এই রকম একটি সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে গ্রামের স্কুল গামী শিক্ষার্থীদের শতকরা ৫৪ ভাগ নিয়মিত পর্ণোগ্রাফি দেখে। সংস্থাটি বলছে, গ্রামের ছেয়ে শহরের এই চিত্র ভয়াবহ। তারা সুস্থ যৌন শিক্ষার বিপরীতে একটি বিকৃত যৌন শিক্ষার মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠছে, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য হুমকি স্বরূপ।
পাঠকের মতামত: