কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের উখিয়া ও বালুখালীতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী তিন নারী।
এই তিন নারী মনে করেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পরিকল্পিতভাবে স্মরণকালের ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। এজন্য অং সান সুচিকে দায়ী করে বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশে সফরত তিন নোবেল জয়ী কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সোমবার সাংবাদিকদের একথা বলেন।
ইরানের শিরিন এবাদি, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান ও দক্ষিণ আয়ারল্যান্ডের মৈরিড মাগুইরে রোববার কক্সবাজারে আসেন। প্রথম দিন দুগ্রুপে বিভক্ত হয়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন এই তিন নারী।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে মোহাম্মদ আবুল কালাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলটি যান উখিয়ার বালুখালী, থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তারা সোমবার দিনব্যাপী ক্যাম্পের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে সার্বিক পরিস্থিতি জেনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই তিন নারী। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে মিয়ানমারের রাখাইনে গণহত্যার বিচারের দাবি করেন তারা। বাংলাদেশের মানবিকতার প্রশংসা করে সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা। মঙ্গলবার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে তাদের।
এর আগে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমতকে আরো সংহত ঢাকার নারীপক্ষ নামক নারী সংস্থার সহযোগিতায় শান্তিতে নোবেল জয়ী তিন নারীর বাংলাদেশ সফরের আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। আগামীকাল উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নোবেল বিজয়ী তিন নারী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরবেন।
পাঠকের মতামত: