বিদেশ ডেস্ক :
মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দ্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। রবিবার (৭ জানুয়ারি) এক টুইট বার্তায় রাখাইনে একটি সামরিক ট্রাকে চালানো হামলার দায়ও স্বীকার করে সংগঠনটি। রোহিঙ্গাদের রক্ষার জন্য মিয়ানমার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অব্যাহত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই বার্তাতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
মিয়ানমার সরকার বলছে, গত শুক্রবার হাতে তৈরি বোমা ও অস্ত্র নিয়ে ২০ জন ‘চরমপন্থী বাঙালি সন্ত্রাসী’ একটি সামরিক গাড়ির ওপর হামলা চালায়। গাড়িটিতে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হামলায় তিন জন আহত হয়।
রবিবার আরসার নেতা আতা উল্লাহর বরাত দিয়ে টুইটারে ওই বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে শুক্রবারের হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সংগঠনটি। বলা হয়, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষার জন্য মিয়ানমারের সরকারের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।’ বিবৃতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ‘মানবিক চাহিদা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যত’ নিয়ে আলোচনা করার আহ্বানও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি পুলিশ ক্যাম্পে হামলার পর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘরে আগুন লাগানোসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালাতে থাকে সামরিক বাহিনী। এর পরের তিন মাসে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানে বর্বরোচিত নির্যাতনের দৃশ্য। জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছে। ২৫ আগস্টের ওই হামলায় আরসা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করে আসছে মিয়ানমার।
পাঠকের মতামত: