ঢাকা,বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

মালালার ওপর হামলা সাজানো ঘটনা : পাকিস্তানের সাংসদ

malalaআন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাঁচ বছর আগে মালালা ইউসুফজাইয়ের মাথায় গুলি করেছিল তালেবানরা। ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০১৭ সালে এসেও সেই হামলা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা যেনো শেষ হচ্ছে না।

২০১২ সালের তালেবান হামলার ঘটনাটি নাকি সাজানো ঘটনা। হামলার আগেই বিবিসিতে সংবাদ আকারে সেই ঘটনা লেখা ছিল বলে পাকিস্তানের সাংসদ মুসারাত আহমাদজেব দাবি করেছেন। খবর জিও টিভির।

আহমাদজেব বলেন, বিবিসির জন্য ‘আগে লেখা’ হয়েছিল মালালার পুরো ঘটনাটি। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরে মালালার ওপর সাজানো হামলা ঘটানো হয়। এমনকি মালালার মাথায় গুলি লাগার বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

এক টুইট বার্তায় আহমাদজেব বলেন, মালালার মাথায় গুলি লাগার কথা বলা হয়, কিন্তু তার মাথার সিটি স্ক্যান করা হলে গুলি পাওয়া যায়নি। অবশ্য পরে পেশোয়ারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে সিটি স্ক্যান করলে তার মাথায় গুলি ধরা পড়েছিল।

আহমাদজেব আরও বলেন, মালালার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের বাড়ি নির্মাণের জন্য সরকার জমি দিয়েছেন। তাছাড়া বিবিসিতে ছদ্মনামে মালালা ইউসুফজাই যে সময়ে লেখার কথা বলা হচ্ছে, সেসময় তিনি লিখতে জানতেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কিন্তু হামলার পর মালালার চিকিৎসা করা প্রথম নিউরো সার্জন ডা. মুমতাজ আলী জিও টিভির ‘আজ শাহেব খানজাদা কে সাথ’ অনুষ্ঠানে বলেন, অচেতন অবস্থায় মালালাকে আমার কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার মাথায় গুরুতর জখম ছিল।

মুমতাজ তখন মালালার মাথার বামদিকে মস্তিষ্কের মধ্যে একটি বুলেট ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা করছিলেন। আরেকটি বুলেট কাঁধের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল।

এরপর সিটি স্ক্যান করে তার মস্তিষ্কের বাম দিকে গুরুতর জখম দেখতে পান মুমতাজ। এসময় তারা সিদ্ধান্ত নেন দুই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর ভিন্ন পদক্ষেপ নেবেন। ততোক্ষণ কেবল ওষুধ সেবনের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

কিন্তু মধ্যরাতে হাসপাতাল থেকে মুমতাজকে ফোন করে জানানো হয়, মালালার অবস্থার অবণতি হয়েছে। তার এক সহকর্মী জানান, মালালা মারা যাচ্ছেন।

মুমতাজ তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পৌঁছে মালালার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। পরে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে মালালার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করে বুলেট বের করা হয়। ভোর চারটার দিকে অপারেশন শেষ হয়।

মালালার ওপর হামলা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করাটাকে একেবারেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন মুমতাজ।

পাঠকের মতামত: