ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মহেশখালী ভূমি অফিসের কানুনগোর অনিয়মে বিপাকে সাধারণ মানুষ

বার্তা পরিবেশক :: মহেশখালী উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগোর অনিয়মে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ এমন অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি স্বচ্ছতার সাথে কার্যক্রম চালালেও সব অর্জন ¤øান হচ্ছে একজন কানুনগোর জন্য। সকলের অগোচরেই কানুনগো মোঃ মোমিনুল ইসলাম অনিয়ম করে যাচ্ছেন। স¤প্রতি কালারমারছড়ার নোনাছড়ি বাজারে এক ব্যক্তির একটি ভবন মোটা ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে তদন্তের নাম করে লিখে দিয়েছেন আরেক জনের নামে এমন অভিযোগ উঠেছে। এতে বিস্মিত হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্যমতে জানা যায়, নোনাছড়ি বাজারের পাশ্ববর্তী মৃত আবদুর রহমানের পুত্র হাজী কালা মিয়া নিজ পৈত্রিক বসতভিটা বিক্রি করে বাজারের অপর পাশে বসতবাড়ি নির্মাণ করেন। পরে তিনি পৈত্রিক বসতভিটা থেকে ২০০৭ সালের ১২ ডিসেম্বর ৫ শতক জমি (শ্রেণী বাড়ী ভিটি ও ঘর) ১৬৬৫ ও ১৬৫৫ নং দলিল মুলে বিক্রি করেন কালারমারছড়ার আধাঁর ঘানা গ্রামের রমজান আলীর পুত্র নুরুল হক ও নুরুচ্ছবিকে। যার সৃজিত বি এস খতিয়ান নং -১২৯৪। জমি গ্রহীতারা পরবর্তিতে উক্ত জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান ভাড়া দিয়েছেন। নিষ্কণ্ঠক ও জমির নিয়মিত খাজনা দেওয়া, ইউনিয়ন পরিষদের কর পরিশোধ ও মার্কেটের বিদ্যুৎ মিটারের বিল নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন। মার্কেটের মালিক নুরুল হক জানান, ওই জমিটি ক্রয় করার পর থেকে জমির উপর কু-নজর পড়ে পার্শ্ববতী মিরাজু বেগম নামের এক মহিলার। সে নানাভাবে মামলা করে জমি ও মার্কেট দখল করার জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। ওই মহিলা স্থানীয়ভাবে একজন মামলাবাজ হিসাবে পরিচিত। তাঁর স্বামী মৌঃ আমির হোসেনকে ২০০৭ সালে সন্দেহজনক তৎপরতার কারণে আইন শৃংখলা বাহিনী আটক করেছিল। বর্তমানে সে মধ্য প্রচ্যের বিভিন্ন দেশে নিয়মিত যাতায়াত করেন। তার পাসপোর্ট তদন্ত করলে অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে।
জমির মালিক আরো জানান, বর্তমান কানুনগো এই রিপোর্ট দেওয়ার আগে অন্য একজন কর্মকর্তা আরেকটি রিপোর্ট দিয়েছিলেন। যা পরস্পর বিরোধী। মিরাজু বেগম তার আপন বড়বোন দিলদার বেগমকে একের পর এক মামলা করে একেবারে নিঃস্ব করেছেন।
জমি বিক্রেতার ছেলে মনজুর আলম বাদশা জানিয়েছেন, মামলাবাজ মিরাজুর কারণে বসতভিটি বিক্রি করে অন্য একটি স্থানে চলে এসেছি। এরপরও তার রোষানল থেকে রেহাই পাচ্ছি না। বিভিন্ন ভাবে আমাদের হয়রানি করে চলেছে। তার মামলার শিকার হয়ে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার সাথে যুক্ত হয়েছে মহেশখালী উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো। তিনি কিভাবে এমন একটি বিভ্রান্তিমুলক প্রতিবেদন দিলেন তা আমাদের অবাক করেছে। আমার বাবা জমি বিক্রি করেছেন, এতে আমাদের পরিবারের কোন আপত্তি নাই। কিন্তু তিনি প্রতিবেদন দিলেন ঠিক উল্টো।
আমরা কানুনগোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চাই। কানুনগোর দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনটি পুনঃ যাচাই করলে তিনি যে বড় ধরণের অনিয়ম করেছেন তা বেরিয়ে আসবে।
মহেশখালী উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মোঃ মোমিনুল ইসলাম জানান, প্রতিবেদন ভুল হয়ে থাকলে আদালতে একটি আপত্তি দিতে পারেন নুরুল হক গং। পুনঃতদন্তের হলে আমি সব ঠিক করে দেব।
মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুইচিং মং মারমা জানান, অনিয়ম হলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ করলেই দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: