সরওয়ার কামাল, মহেশখালী :: মহেশখালীর গোরাকঘাটা-জনতাবাজার সড়কের প্রবেশ পথে সড়কের দু পাশে পুকুরের মাঝখানে সবুজ পাতা ভেদ করে হেসে ওঠে লাল-সাদা একেকটি পদ্ম। ফুটে থাকা ভাসমান একেকটি পদ্মের রূপশোভা অভিভূত করে যেকোনো বয়সের মানুষদের।
ছবির মতো সাজানো, হৃদয়কাড়া দৃশ্য আটকে রাখতে পারে না দুরন্ত শৈশব কে। পথচারী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অনেকেই সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন পদ্মের সৌন্দর্য। মুগ্ধ হন তারা। লাল রঙে আপন সাজে সেজেছে পদ্মফুল, আলতো করে ছড়িয়ে দিয়েছে সৌন্দর্য। ফুলে আর পাতায় ভরে গেছে পুকুর। ছড়িয়ে পড়েছে লাল পদ্মের আভা।যে পুকুরের দিকে একসময় মানুষ ফিরেও তাকাত না, সেই পুকুর ঘিরে এখন তৈরি হয়েছে এমন মনোরম পরিবেশ।
জানা যায়, এক সময় সড়কের পাশে পুকুর গুলো ছিল ময়লার ভাগাড়। দুর্গন্ধে যাওয়া যেত না আশেপাশে। ফলে ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছিল। পরে জমির মালিকেরা পুকুর গুলো পরিস্কার করে ধাপে ধাপে সেখানে পদ্ম ফুল রোপণ করেন। বর্তমানে জলাশয় বিশিষ্ট পুকুর গুলোতে ফুলে আর পাতায় ভরে গেছে। গোরাকঘাটা-শাপলাপুর সড়কে ঘুরতে আসা স্থানীয় দর্শনার্থী উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, গোরাকঘাটা শাপলাপুর জনতা বাজার সড়কে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে পুকুরের ফুটে থাকা পদ্ম ফুল। অসাধারণ সুন্দর প্রাঙ্গন। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর এখানে এসে থাকি। বলা যায়, বাতাসে পদ্মের দোলা মুহূর্তেই ভালো করে দেবে যে কারও মন।
মাষ্টার অশোক দাশ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, পুকুরের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। শুনেছি এখানে আগে নাকি ময়লার ভাগাড় ছিল। কিন্তু এইটাকে পরিস্কার করে কত সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা হয়ছে। কতসুন্দর ভাবে পদ্ম ফুল ফুটে আছে। পুকুরের দৃশ্য আসলেই খুবই সুন্দর।
স্ত্রী কে নিয়ে পুকুর ঘাটে বসেছিলেন জহর লাল শীল, কেন ঘাটে বসে আছেন, জানতে চাইল তিনি বলেন, আপনার চাচী কে গোরাকঘাটা ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছিলাম। ডাক্তার দেখার পর বাড়িতে যাওয়ার সময় এই পুকুর পাড়ে একটু বসে আছি। এর আগে এই পুকুর পাড়ে এসেছিলেন কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে এসেছিলাম ডাক্তার দেখাতে। তখন এই পুকুরের পানি ছিল কালো। ময়লা আবর্জনা পড়ে ছিল। আজ দেখলাম পুকুরটি পরিস্কার করে অনেক সুন্দর করা হয়েছে। কী সুন্দর হয়ে ফুটে আছে পদ্মফুল।
পাঠকের মতামত: