ফরিদুল মোস্তফা খান কক্সবাজার :::
মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপের কাছে চরে আটকা পড়েছে একটি বিশাল জাহাজ। ঝড়ের কবলে পড়ে দুর্ঘটনাজনিত কারণে জাহাজটি সাগরের সোনাদিয়া দ্বীপ সংলগ্ন ডুবোচরে এসে ভীড়ে বলে দ্বীপের লোকজনের ধারণা। সোমবার সন্ধ্যার দিকে জাহাজটি সোনাদিয়ার চরে এসে আটকে যায়। ক্রো ও লোকজনহীন জাহাজে তেলভর্তি বেশ কিছু ড্রাম্প ও লাইফ জ্যাকেট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈরী আবহাওয়ার তোড়ে গভীর সমুদ্র থেকে জাহাজটি সোনাদিয়ার চরে এসে আটকে যায়। এটি তীরে ভেড়ার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন জাহাজটিতে উঠে লুটপাট চালায়। যে যার মতো তেলভর্তি ড্রাম্প, লাইফ জ্যাকেট ও অন্যান্য মালামাল লুট করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মহেশখালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফররুখ আহমদ মিনহাজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় জাহাজটি চরে আটকে যাওয়ার খবর আসে। কিন্তু এক দিকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ অপর দিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকে চেষ্টার পর দুপুরে জাহাজ আটকা পড়া স্থানে পৌঁছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, জাহাজে উঠে দেখা যায়, এতে ক্রো বা অন্য কোনো লোকজন নেই। মনে হচ্ছে এটি বাণিজ্যিক পণ্যবাহী জাহাজ। জাহাজে বেশ কিছু তেলের ড্রাম্প ও লাইফ জ্যাকেট রয়েছে। খবর পেয়েছি আরও বেশ কিছু পণ্য লুট করেছে স্থানীয় অসাধু কিছু লোকজন। এসব উদ্ধারে ওই এলাকায় বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে। লুট হওয়া বেশ কিছু তেল ও অন্যান্য পণ্য উদ্ধার করে স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এসআই মিনহাজ আরও বলেন, জাহাজের গায়ে লেখা ও অন্যান্য সরঞ্জাম দেখে মনে হচ্ছে এটি কোরিয়ান কোনো জাহাজ। এটি এখন পুলিশের জিম্মায় রয়েছে। ক্রো ও লোকজনহীন হওয়ায় জাহাজটি কোনো শিপ ব্রেকিং থেকে চলে এসেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন বলেন, সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আদলে রোববার সকাল থেকে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া চলে। সাগর উপকূলে এর তীব্রতা ছিল মারাত্মক। সেই বৈরী আবহাওয়ায় পড়ে জাহাজটি ভেসে এসে সোনাদিয়ার চরে আটকে যায়। প্রশাসন এটি জিম্মায় নিয়েছে। তাদের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পাঠকের মতামত: