ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

মহেশখালী সংবাদদাতা :: মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর উক্ত শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে প্রকল্পের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

তারা হলেন- জিও হারবাল কোম্পানীর সাইট ইঞ্জিনিয়ার উত্তম ঘোষ, ফোরম্যান আতিকুর রহমান ও সুপারভাইজার ফখরুলসহ ৩ কর্মকর্তা। ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া আবার চাকরিচ্যুত করে পুনরায় লোক নিয়োগ দিচ্ছে উক্ত পদে। এ দিকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করার পর শ্রমিকরা টাকার বিনিময়ে চাকরি নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়।

জানা গেছে আরমান, নিশান, আলতাফ মাহমুদ নামে চাকরিচ্যুত ৩ শ্রমিক খোদ ঐ তিন কর্মকর্তার কাছ থেকেই টাকা চেয়ে বসে। বিষয়টি নিয়ে শ্রমিক ও তিন কর্মকর্তার সাথে কথাকাটি হয়। এছাড়া ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- চাকরির আড়ালে নিজেরাই শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছেন। ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দিচ্ছেন অন্যদের। এতে শ্রমিক ও অন্য ঠিকাদারদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জিও হারবাল কোম্পানীর শ্রমিক শামিম হোসেন বলেন, আমাদের থেকে প্রায় ১কোটি ২০ লাখ টাকা বিভিন্ন অজুহাতের বিনিময়ে নিয়ে চাকরি দিয়েছে। এমনকি আমরা কার থেকে কত টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করেছি। এতে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সরিষা বাড়ী উপজেলার জামালপুরের বাসিন্দা শামীম হোসেন নামে এক যুবকসহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক স্থানীয় মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহর কাছে অভিযোগ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক শ্রমিকদের দেওয়া অভিযোগ বিশ্লেষণ করে ঐ অসাধু তিন কর্মকর্তাদের ডেকে এনে ১৩ জন শ্রমিকদের কাছ থেকে নেওয়া প্রায় ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করে শ্রমিকদের মাঝে ফিরিয়ে দেন বলে সত্যতা স্বীকার করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য চাকরিচ্যুত শ্রমিক তাদের টাকা ফিরিয়ে পাওয়ার দাবিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন।

সম্প্রতি ঘটনাটির ব্যাপারে সোস্যাল মিডিয়ায় সমলোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে পুরো মাতারবাড়ী বাসিন্দাদের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

সাইট ইঞ্জিনিয়ার উত্তম ঘোষ বিষয়টির অভিযোগ শিকার করে বলেন, শ্রমিকদের দেওয়া অভিযোগে আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধান করেছি । এর পর আর কোন শ্রমিক অভিযোগ করেছে কিনা জানা নেই।

ফোরম্যান আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আংশিক সত্য আর আংশিক মিথ্যা।

সুপারভাইজার ফখরুল জানান, তার মাধ্যমে একজন থেকে টাকা নিয়ে চাকুরি দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করেন তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: