ঢাকা,শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে শ্বাশুড়িকে মারধর, জামাই শ্রী ঘরে

মহেশখালী প্রতিনিধি ::atok,
স্বামীর নির্দেশে স্ত্রী মদ বিক্রি না করায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে মারধরের প্রতিবাদ করায় শ্বাশুড়ীকেও পিটিয়ে অাহতকারী মাদক ব্যবসায়ি জামাইকে আটক করেছে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে ৩ মে বিকাল ৫টায় উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা গ্রামে। আটককৃত জামাই’র নাম আব্দুস সামাদ (৩০)।  সে উক্ত গ্রামের মৃত ফরু মিয়ার পুত্র। তাকে আটকের খবর পেয়ে পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল থানায়। পুলিশ বলছে আটককৃত সামাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, মানব পাচার সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুস সামাদ এর সহিত দীর্ঘ দিন পূর্বে বিয়ে হয় একই গ্রামের মৃত জালাল আহমদের মেয়ে খালেদা বেগমের। সামাদ পেশায় একজন মাদক বিক্রেতা এবং মালয়েশিয়ায় আদম পাচার। গতক’ দিন পূর্বে সে রাতের অাঁধারে হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার মিন্নত আলীকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনার পর থেকে সে পাহাড়ী এলাকায় তার বাড়ীতে উৎপাদিত মদ জন সমাগমে গিয়ে বিক্রি করতে না পারায় তার স্ত্রী খালেদা বেগমকে মদ বিক্রি করতে বাধ্য করে। স্ত্রী মদ বিক্রি করতে অনিহা প্রকাশ করায় তাকে মারধর করে বাবার বাড়ীতে তাড়িয়ে দেয়। এদিকে এঘটনার প্রতিবাদ করায় গত মঙ্গল বার শ্বাশুড়ী ছলমা খাতুনকে জামাতা আব্দুস সামাদ মারপিট করে মাথা ফেটে দেয়। গতকাল ৩ এপ্রিল বিকাল ৫ টায় সামাদকে নিজ এলাকায় পেয়ে শ্যালক ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন আটক করে শ্বশুর বাড়ীতে আটকে রাখে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ পিপিএম জানান, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রি,বাংলা মদ উৎপাদন, চৌকিদারকে মারপিট,মালয়েশিয়ায় মানব পাচার সহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধের অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: