ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ

সরওয়ার কামাল, মহেশখালী :: মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ বিষাক্ত পিরানহা মাছ। এই মাছ বিক্রি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই। দ্রুত এই মাছ বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। জানা গেছে, ২০০৮ সালে পিরানহা মাছ চাষ, আহরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিপনন নিষিদ্ধ করে সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশের উত্তরাঞ্চলে অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা পিরানহা মাছ চাষ করছে এবং দক্ষিণাঞ্চলে রফতানি করছে। আর দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারী মৎস্য ব্যবসায়ীরা অল্পমূল্যে এ মাছ ক্রয় করে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে সামুদ্রিক রূপচাঁদা বলে বিক্রি করছে। গ্রামের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ না বুঝে এ মাছ ক্রয় করছে অনায়াসে। তাদের ধারণা এ মাছ বিষাক্ত হলেও রান্না করলে ওই বিষ আগুনের তাপে নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলার গোরকাটা বাজার, হোয়ানক, ধলঘাটা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছের স্টল ও সড়কের পাশে বিষাক্ত পিরানহা মাছ বিক্রি চলছে, ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। ধলঘাটার বাসিন্দা মুর্শেদ আলী সোহাগ বলেন, রূপচাঁদা মাছ বলে বিক্রেতা গ্রামের সহজ সরল মানুষকে মাছ বিক্রি করেছে। আমিও তার কথায় বিশ্বাস করে মাছ কিনেছি। তিনি বলেন, উপজেলার ধলঘাটাসহ বিভিন্ন ছোট বড় বাজার গুলোতে এই বিষাক্ত ‘পিরানহা’ মাছ বিক্রি করা হচ্ছে- পিরানহা মাছটি খুবই ভয়াবহ বিষাক্ত যাহা ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। এই মাছের দাঁত গুলো দেখতে মানুষের দাঁতের মত এই মাছ খাওয়ার পর যেসব রোগ হতে পারে ব্রেইন ক্যান্সার, ফুসফুসে ক্যান্সার ও স্টোকের মত মারাত্মক রোগ। হোয়ানকের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, মানুষ না বুঝে নিষিদ্ধ রাক্ষসী পিরানহা মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ মাছ বিক্রি বন্ধের দাবি জানাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিসের লোকজনকে ম্যানেজ করেই পিরানহা মাছ রূপচাঁদা হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। তারা আরও বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিস তো এ মাছ বিক্রি নিষিদ্ধ তা আমাদের কখনো বলেনি। মহেশখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দু রহমান খান বলেন, পিরানহা মাছ চাষ, আহরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিপনন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ মাছ কেউ চাষ ও বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, পিরানহা মাছ ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পাঠকের মতামত: