মহেশখালী সংবাদদাতা :: কক্সবাজারের মহেশখালীতে বন বিভাগের চাদাবাজি এবং রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী ও বিট কর্মকর্তা আহসানুল কবিরের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হাজারো মানুষ।
আজ ৩ ই আগষ্ট সোমবার সকাল ৯টার দিকে হোয়ানক ইউপিস্থ প্রধান সড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তিন থেকে চার হাজার মানুষ। এসময় বন বিভাগের চাদাবাজি ও নাটকীয় মামলা হামলা বন্ধ এবং মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী ও বিট কর্মকর্তা আহসানুল কবিরের অপসারণের দাবির স্লোগানে মুখরিত হয় সবাই।
উল্লেখ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩০ ই জুলাই(বৃহস্পতিবার) সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিন বিশেষ অভিযান টিমকে সাথে নিয়ে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের আওতাধীন মহেশখালী রেঞ্জের কেরুনতলী বিটের করইবুনিয়া নামক এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে স্থানীয় ভুমিদস্যুদের পানের বরজ নির্মাণে বাধা দিতে গেলে তাদের উপর অতর্কিতভাবে পঞ্চাশ থেকে ষাটজন মানুষ হামলা চালায়। এতে নাটকীয়ভাবে কেবল সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিনকেই জখম করা হয়। বাকি দুজন কেবল নামমাত্র আহত হয়। তিনি বর্তমানে অজ্ঞান অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী এবং বিট কর্মকর্তা আহসানুল কবিরকে আমরা নিয়মিত টাকা দিয়ে বনাঞ্চলের সংরক্ষিত ভূমিতে পানের বরজ, চাষ এবং গৃহ নির্মাণ করতাম। এরই ধারাবাহিকতায় পানের বরজ তৈরির অনুমতির জন্যও আমরা তাদের দুজনকে মোটা অংকের টাকা দিই। এরপর তাদের অনুমতিক্রমেই আমরা বরজ নির্মাণের কাজ শুরু করলে ইউসুফ উদ্দিন নামের তাদের একজন ফরেস্টার অফিসার এসে আমাদের কাজে বাধা দেয়। সাথে নাটকীয়ভাবে বিট কর্মকর্তা আহসানূল কবিরও ছিলেন। তবে সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তার অভিযানের বিষয়টি রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী আমাদের আগেই অবহিত করে রেখেছেন এবং মানুষজন নিয়ে হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। তখন ওনারা আসলেই আমরা বিট কর্মকর্তা আহসানুল কবিরের ইঙ্গিতে সহকারী রেঞ্চ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিনকে লক্ষ্য করে হামলা চালাই। কিন্তু এরপর নাটকীয়ভাবে মামলা দিয়ে তারাই আবার আমাদের ফাসাচ্ছেন।”
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, চাদাবাজি এবং ঘুষ বাণিজ্যের বিরোধীতা করায় সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিনকে দীর্ঘদিন ধরে সরানোর চেষ্টা করে আসছিলেন মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী এবং বিট কর্মকর্তা আহসানুল কবির। তাই সুযোগ বুঝেই তাকে জখমের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে নেমেছিলেন তারা।
বন বিভাগের এসব নাটকীয় ঘটনায় হয়রানির শিকার মানুষ আজ রাস্তায় নেমেছে। দাবী তুলেছে উপরোল্লেখিত নাটকীয় ঘটনার মূল হোতা মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী এবং বিট কর্মকর্তা আহসানুল কবিরের অপসারণ পূর্বক সাধারণ মানুষ হতে চাদাবাজি বন্ধের।
এই বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিচিভ করেননি।
পাঠকের মতামত: