মহেশখালী প্রতিনিধি ::
মহেশখালীতে ডিজিটাল আইল্যান্ড প্রকল্পের এক সহকারি প্রকৌশলীর ভাড়া বাসা থেকে তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ১৮ আগস্ট দুপুর ১টায় মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা সিকদার পাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিম প্রকাশ ঢাকাইয়্যা হাকিমের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধুর নাম অন্তরা বেগম (২০)। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। এঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী আবু রায়হানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
জানা যায়, মহেশখালী ডিজিটাল আইল্যান্ড প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী আবু রায়হান (২৭) এর সাথে এক বছর পূর্বে বিয়ে হয় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের সাবান আলীর মেয়ে অন্তরা বেগমের। স্বামী আবু রায়হান জানান, কুষ্টিয়া নিজের বাড়িতে থাকাকালেও স্ত্রীর সাথে আমার ছোট বোনের বিয়ে নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হতো। কয়েক মাস পূর্বে স্বামী–স্ত্রী ঢাকায় বসবাস করে আসছিলাম।
চলতি মাসে আমার চাকরি হয় মহেশখালী ডিজিটাল আইল্যান্ড প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে। স্ত্রী অন্তরা বেগম এক সপ্তাহ পূর্বে মহেশখালীতে এসে গোরকঘাটা হাকিম সওদাগরের ভাড়া বাড়িতে উঠে। সে চায় কুষ্টিয়ায় চলে গিয়ে সেখানে কলেজে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করতে। শুক্রবার রাতে কলেজে ভর্তি বিষয় নিয়ে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।১৮ আগস্ট আমি বাজারে গেলে স্ত্রী রুমে গলায় ফাসঁ লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। দুপুর ১ টায় আমি বাড়িতে এসে স্ত্রীকে ডাকাডাকি করে দরজা বন্ধ পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পাই স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ। এসময় পাশের লোকজনের সহায়তায় দ্রুত মহেশখালী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মহেশখালী থানা পুলিশ নিহত নারীর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত স্বামী আবু রায়হান পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান,মহিলার গলায় ফাসেঁর চিহ্ন রয়েছে। স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবু রায়হান কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার একই এলাকার আজিজুল হকের পুত্র।
পাঠকের মতামত: