শাহেদ মিজান, কক্সবাজার :: কক্সবাজারের মহেশখালী, টেকনাফ ও চকরিয়া মিলে তিনটি উপজেলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে মহেশখালীতেই আক্রান্তের সংখ্যা তিনজন। গত রোববার একদিনেই প্রথম এই তিনজন করোনা রোগী সনাক্ত হয় মহেশখালীতে। এই নিয়ে শুধু মহেশখালী নয়; জেলাজুড়ে প্রবল আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে মহেশখালীর পরিবেশ থমথমে হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানকার প্রশাসন অত্যন্ত কঠোর হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ মিলে করোনার বিস্তার ঠেকাতে অ্যাকশনে নেমেছে। তারই অংশ হিসেবে মহেশখালী গমণ করা সব ধরণের বহিরাগতদের তালিকা তৈরি করছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসনিক পাহারার পরও দুর্গম নদীপথ এবং কয়েকটি দুর্গম পথ দিয়ে রাতের আঁধারে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক লোক মহেশখালীতে ঢুকে পড়ে। যে তিনজন আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে তারা তিনজনই ঢাকা ফেরত। মহেশখালীর সব ইউনিয়নে এভাবে বহুসংখ্যক লোকজন প্রবেশ করেছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। এদের অধিকাংশই কোয়ারাইন্টাইন না মেনে প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে।
মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) বাবুল আজাদ জানান, করোনার প্রকোপের শুরু থেকে বহিরাগতদের ঠেকাতে কঠোর রয়েছে পুলিশ। তারপরও কিছু মানুষ কয়েকটি দুর্গম পথে মহেশখালী ঢুকে পড়ে। ইতোমধ্যে এরকম বেশ কয়েকজনকে আটক করে কোয়ারাইন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আরো অনেকে আত্মগোপন করে রয়েছে। তাদের মধ্যে থেকেই করোনা সনাক্ত হয়েছে। তাই এবার বহিরাগত এসব লোকজনকে কোয়ারাইন্টাইনের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ‘বহিরাগতদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদেরকে পুলিশ সহযোগিতা করবে। তালিকা ধরে খুঁজে খুঁজে বহিরাগতদের ধরে এনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হবে।’
ওসি বলেন, ‘কিছু বহিরাগতদের কারণেই পুরো মহেশখালীর মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে না। তাই বহিরাগত একজনকেও বাইরে থাকতে দেবো না। সবাইকে ধরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হবে। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা এখন হার্ডলাইনে রয়েছি।’
পাঠকের মতামত: