ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ভিক্ষুক সেজে বাসায় চুরি, ৪ চোর আটক

মহেশখালী সংবাদদাতা ::
দিন দিন পাল্টাচ্ছে চুরির অভিনব কৌশল। নারী পুরুষ ও শিশুর সমন্বয়ে ৬/৭ সদস্যের চুরি সিন্ডেকট গঠন করে ভিক্ষুকের বেশে করছে বাসা বাড়ীতে চুরি। ধরা পড়ার পর গৃহকর্তাকে নানা রকম ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকী দিয়ে চেষ্টা চালায় ছাড়া পাওয়ার। তেমনি এক অভিনব কায়দায় সোমবার মহেশখালীতে দৈনিক অাজাদীর মহেশখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক ফরিদুল আলম দেওয়ানের বাড়ীতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে ভিন্ন উপজেলা চকরিয়া ও পেকুয়ার শিশু সহ ৪ সদস্যের একদল চোর।
সোমবার সকাল ১১টায় দৈনিক আজাদীর মহেশখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক ফরিদুল আলম দেওয়ানের বাড়ীতে রমজান উপলক্ষে বাড়ীর সবাই ঘুমে ছিল। এ সময় ৪ সদস্যের একদল চোরের মধ্যে দুই মহিলা ভিক্ষুকের বেশে বাড়ীতে ঢুকে পানি খাওয়ার ভান করে বাড়ীতে থাকা ছোট শিশুকে নলকূপে পাঠিয়ে এই ফাকে সাংবাদিকের বাড়ীর রুম থেকে ১টি স্যামসাং এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও ১টি রাইসকুকার নিয়ে বাড়ীর অদুরে থাকা শিশুকে দিয়ে রাস্তায় অপেক্ষমান চোর দলের পুরুষ সদস্যের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এসময় রুমে শুয়ে থাকা সাংবাদিক ফরিদ ঘটনা অাঁচ করতে পেরে ওই দুই মহিলাকে অাটক করে ফেলে। অতপর স্থানীয় জনতা রাস্তা থেকে পলায়ন পর অপর একজর পুরুষ ও একটি ১০ বছরের শিশুকে অাটক করে তল্লাশী চালিয়ে তাৎক্ষনিক চোরাইকৃত নিজের মালামালসহ বিভিন্ন বাসা বাড়ী থেকে চুরি করা অারো বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করে।
অতপর অাটককৃত চোরদের নাম ঠিকানা পরিচয় জিজ্ঞাসাবাদ কালে তারা নিজেদের পরিচয় গোপন করে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদেরকে ছেড়ে না দিলে সাংবাদিক ফরিদকে দুই দিনের মধ্যে মেরে ফেলার হুমকী দেয়া সহ নানা রকম অাপত্তিকর অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করারও হুমকী দেয়। ফলে সাংবাদিক ফরিদ বিষয়টি তাৎক্ষনিক হোয়ানক পুলিশ ক্যাম্পে অবহিত করে পুলিশী সহায়তায় ধৃত ৪ চোরকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের পরিচয় বের করে নিজে বাদী হয়ে মামলা করে জেলে ফুকিয়ে দেয়। অাটককৃত চোরেরা ধরা পড়ার পর ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় দিলেও সব মিথ্যা প্রমানিত হঢে পুলিশের তাৎক্ষনিক অনুসন্ধানে পাওয়া পরিচয় হচ্ছে, দুই মহিলা হচ্ছে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মধ্যম চরপাড়া গ্রামের অাব্দুল হামিদের মেয়ে অাজবাহার (৩৫), ও তার বোন জোহরা পারভিন(৪০) এবং সুমি নামের ১০ বছরের শিশু কন্যাটিও তাদের বোন বলে দাবী করেন। অাটককৃত হাতকাটা অপর পুরুষ সদস্য হচ্ছে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়া খালী গ্রামের অাবুল হোসেনের পুত্র মোঃ সিরাজ (৩০)।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, অাটককৃত চোরদের থানায় সোপর্দ করার পর তাৎক্ষনিক অনুসন্ধানে অাটককৃতদের নিজ ইউনিয়ন কোনাখালীর ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ হোসেন মেম্বারের নিকট থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অাটককৃতরা পেশাদার দুধর্ষ চোর। ফলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজ্জু করে গতকাল ২০ মে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়।

পাঠকের মতামত: