ডেস্ক নিউজ :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার উপকূলে ফিরেছে ৬ হাজারের বেশি মাছ ধরার ট্রলার। তাই এখন মাছশূন্য কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।
জেলেরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে সাগর উত্তাল হওয়া ও বাতাস বেড়ে যাওয়ায় সাগরে মাছ শিকার না করে উপকূলে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন তারা। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মাছশূন্য হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেটি ঘাট সাধারণত মাছ ওঠানো-নামানো ও বেচাকেনায় সরগরম থাকে। কিন্তু এখন সেই ঘাটে নোঙর করে আছে হাজার হাজার ট্রলার। জেলেরা ৫-৭ দিন ধরে ট্রলারে বসে বেকার সময় পার করছেন।
এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি লুৎফুর রহমান বলেন, ‘আমরা হাতিয়ার মানুষ। বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় মাছ না ধরে কক্সবাজার উপকূলে চলে এসেছি সাত দিন আগে। এখন ট্রলারে বসে আছি। আবহাওয়া ভালো হলে আবারও সাগরে মাছ শিকারে যাব।’
নোয়াখালীর এফবি আল্লাহর দান ট্রলারের জেলে হাফেজ বলেন, ‘৮-১০ দিন হলো কক্সবাজার উপকূলে ট্রলার নোঙর করা আছে। সাগরের অবস্থা খুবই খারাপ। সাগরে ঢেউ ও বাতাসের গতি অনেক বেশি। মাছ শিকার করা যাচ্ছিল না, তাই উপকূলে চলে এসেছি।’
মৎস্য শ্রমিক দিদার বলেন, ‘মাছ নেই। তাই আমাদেরও কাজ নেই।’
মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ’৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর জেলেরা যখন সাগরে গিয়েছিল, তখন প্রচুর মাছ আনা হয়েছিল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। কিন্তু এখন সতর্ক সংকেতের কারণে ট্রলারগুলো উপকূলে চলে এসেছে। তাই মাছের ব্যবসা বন্ধ।’
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৫ দিন ধরে বাঁকখালী নদীর মোহনায় নিবন্ধিত সাড়ে ৪ হাজার নৌযানসহ বিভিন্ন জেলার মাছ ধরার ট্রলার নিরাপদে অবস্থান করছে। আশা করছি, ৪-৫ দিনের মধ্যে বৈরী আবহাওয়া কেটে যাবে এবং পুনরায় সাগরে যাবেন জেলেরা। তখন আবারও মাছ বেচাকেনায় জমজমাট হয়ে উঠবে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।’
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে কক্সবাজারে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ৪ দিন ধরে কক্সবাজারে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৫০ মিলিমিটার। আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি আরো ৪-৫ দিন অব্যাহত থাকবে।’
পাঠকের মতামত: