এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও :: সদরের অন্যতম নদী হচ্ছে ঈদগাঁও ফুলেশ্বরীটি । মিয়ানমারের পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে বান্দরবান আর রামুর বুক চিরে কক্সবাজার সদর হয়ে ফুলেশ্বরী নদী মিশেছে গেছে বঙ্গোপ সাগরে।
সাগরের মিলন মোহনার নাম গোমাতলী পয়েন্ট তথা মহেশখালী চ্যানেল। এ নদী পার হয়ে যাওয়া যায় কাঁউয়াডিয়া নামক একটি পর্যটন এলাকায় । আবার এ চ্যানেলটি সাথে আরো একটি ছোট্র নদী রয়েছে তার নাম লবন ঘাট।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে যে নদী দিয়ে ঢুকে পড়ে সেই নদীটি ইসলামপুর ঘাট। এ নদীগুলোর মোহনায় বিশেষ পরিকল্পনার মাধ্যমে গড়ে তোলতে পারে প্যারাবন সমৃদ্ধ গভীর দৃষ্টি নন্দন অরণ্য। উদ্যোগই এখন বিশেষ প্রয়োজন। পাখির কল-কাকলী,বাইন,কেওড়াসহ অন্যান্য উদ্ভিদে প্রজাতির ঘন সবুজ অরণ্য আর নদীর জোয়ার ভাটা স্রোত ও ঢেউয়ের সাথে মিতালী গড়া দৃষ্টিনন্দন ঐ এলাকার নাম দেওয়া যেতে পারে মিনি সুন্দরবন।
সাগর,নদী ও সবুজ আর প্রাণবৈচিত্র্যের অপূর্ব এই প্রাকৃতিক স্থানকে ঘিরে সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা নিতে পারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়। বিশ্বের সর্ব দক্ষিনে দীর্ঘতম সমুদ্র নগরী কক্সবাজার ভ্রমনে আসা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে এ অরণ্যকে আকৃষ্ট করতে পারে।
নির্মান করা যেতে পারে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও প্রাকৃতিক বিনোদন কেন্দ্র। সদরের এ প্যারাবনগুলো এতদঞ্চলের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারেন বলে মনে করেন সচেতন ব্যাক্তিরা।
স্থানীয়দের মতে,সুন্দর বনের আদলে গড়ে হলে অসংখ্য জীব বৈচিত্র্যে কে রক্ষা করা যেতে পারবে। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন্ডিত এলাকাটি কক্সবাজার পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
এই প্রাকৃতিক নদী,চিংড়ি ঘের,সাগর বেষ্টিত বনে শুধু পর্যটককের ঢল নয়,উদ্যোগ নিলে চলচিত্রের চিত্র ধারণের একটি বিকল্প স্থান ও হতে পারে। বর্তমানে এই এলাকায় বহু প্রজাতির পাখির বিচরন রয়েছে।
অনেক অতিথি পাখিও চোখে পড়ে নানা ক্ষেত্রে। এমনকি বিলুপ্ত প্রায় পাখিও দেখাও মেলে। তবে উপকুলীয় এলাকার লোক জনের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ ধ্বংসের কারনে বহু প্রজাতির প্রাণী আজ বিলুপ্ত প্রায়।
একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হলে পর্যটক ও স্থানীয় এবং প্রাকৃতিক নানাবিধ সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে পারবে সহজেই।
পাঠকের মতামত: