ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্ত আ.লীগের

অনলাইন ডেস্ক :: জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী হয়ে অংশ নিয়েছিলেন তাদের সাধারণ ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। যারা ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ডের ক্ষমা চেয়েছেন, তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে।

শনিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সভায় আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের বাজেট পাশ করা হয়েছে।

এবারের সম্মেলনে খরচ হবে ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। একই সঙ্গে জাতীয় সম্মেলনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর শুরু হয় মূল আলোচনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বৈঠকে অধিকাংশ জাতীয় পরিষদের সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে। সদস্য করা হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের দুই সদস্য ড. মসিউর রহমান খান ও সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের বৈঠকে যারা বিভিন্ন সাংগঠনিক অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে আবেদন করেছেন, তাদের বিষয়টিও তোলা হয়। এদের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, যারা ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ডের ক্ষমা চেয়েছেন, তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে। একই সঙ্গে যারা ক্ষমা চাইবেন তাদের বিষয়টিও বিবেচনায় নেবে আওয়ামী লীগ।

দলীয় সূত্র জানায়, বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা করা হলেও তারা দলের স্বপদে ফিরতে পারবেন না। তারা সাধারণ সদস্য হয়ে থাকবেন। তবে ভবিষ্যতে তারা দলের যে কোনো পদ-পদবিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন নিয়ে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যাতে কোনো শক্তিই পরাজিত করতে না পারে। বিগত দিনে যারা দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড করেছে, তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হলো। তবে ভবিষ্যতে যেন এমন না হয় সেজন্য সতর্ক করা হলো। একবার ক্ষমা করব বলেই বারবার একই কাজ করব তা কিন্তু নয়।

দলের গঠনতন্ত্রের ১৭ (ক) ধারায় বলা আছে, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি জাতীয় কমিটি থাকিবে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলা হইতে একজন করিয়া সদস্য স্ব স্ব জেলা ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল কর্তৃক জাতীয় কমিটিতে নির্বাচিত হইবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মকর্তা, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কর্তৃক মনোনীত ২১ জন সদস্য এবং উপযুক্তভাবে নির্বাচিত ও মনোনীত সদস্যবৃন্দকে লইয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি গঠিত হইবে। জাতীয় কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা হইবে ১৮০ জন, যার মধ্যে ৮১ জন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, ৭৮ জন সাংগঠনিক জেলা প্রতিনিধি এবং ২১ জন সভাপতি কর্তৃক মনোনীত।’

পাঠকের মতামত: