জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “এই অবস্থায় ওই আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাব না। তাই অনাস্থা জানিয়ে আবেদনে করেalছি।” আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আবেদনে বলা হয়েছে, আদালতে আরো অনেক মামলা বিচারাধীন। সে সব মামলায় এক দেড়মাস পরপর দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে কোনো কোনো সপ্তাহে দুই দিন ধার্য করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মতোও তিনি ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির করার জন্যই তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। এই আদালতে খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার পাবেন না।
আবেদনে আরো বলা হয়, এই মামলার দুইবার তদন্ত হয়েছে। প্রথম দফায় দুদকের কর্মকর্তা নূর আহমেদ মামলার অভিযোগ থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ওই তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার জন্য কুয়েতের আমির অর্থ দিয়েছেন। কিন্তু দুদক এই মামলায় নতুন কর্মকর্তা হিসেবে হারুন উর রশিদকে নিয়োগ দেন। এই তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে বলেছেন, টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। এখানে খালেদা জিয়া জড়িত। এ অবস্থায় খালেদা জিয়া পুনরায় তদন্ত চেয়ে আবেদন করলে সেই আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিচারিক ক্ষমতার পরিধি পরিবর্তন করায় আবেদনটি শুনানির জন্য নতুন করে এ বেঞ্চে আবেদন করা হয়।
নতুন বার্তা/
পাঠকের মতামত: