ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

‘বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন’

নিউজ ডেস্ক ::
রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর পুনরায় সংযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। কার্যালয়ের নিচে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

কার্যালয়ের ভেতরে বিএনপির রিজভীসহ কয়েকজন নেতা অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ফিরোজার সামনেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি। সেখানে সাদা পোশাকধারী, গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্য রয়েছে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনের সামনে সন্ধ্যা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। আমরা জানি না এর কারণ কী! সরকার যে এক ভয়ঙ্কর মরণ খেলায় মেতে উঠেছে, তার নিদর্শন সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’

রিজভী বলেন, ‘পতনের আগে মানুষ হঠাৎ করে গা ঝাড়া দেয়। এটা তারই ইঙ্গিতবহ কী? তা আমরা জানি না। আজকে কেন তারা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড করছেন? কারণ তার (খালেদা জিয়া) জনপ্রিয়তা। তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। এটা আওয়ামী লীগ সহ্য করতে পারছে না।’

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয়তাবাদী দলের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সভায় যেসব প্রক্রিয়া সেগুলো প্রায় সম্পূর্ণ করা হয়েছে। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্মতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সভা ডেকেছেন। ইতোমধ্যে নির্বাহী কমিটির সবাইকে আমরা নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছি।

সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য যে আইডি কার্ড, সেটা আমরা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিতরণ করবো। ফলে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয়তাবাদী দলের নির্বাহী কমিটির সভা অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে।

সভার স্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার রাজদর্শন হলে সভায় জন্য আমরা অনুমতির চেয়েছিলাম। টাকাও দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে তারা টাকা ফেরত দিয়েছে। বলেছে, কাজ চলছে। কিন্তু এটা সত্য নয়। আপনারা বুঝতে পারছেন, কোন জায়গা থেকে তাদের কাছে ধমক এসেছে। সুতরাং কোন জায়গায় সভা হবে, সেটা আমরা আপনাদের পরবর্তিতে জানিয়ে দেবো।’

তিনি বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। এর চাকার দাগগুলো বিষাক্ত। বিরোধী মতকে পিষ্ট করার জন্যই এ যন্ত্রকে চালিত করা হচ্ছে।’

সরকারকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘সরকারের ফরমান জারি করে বিচারের রায় মেনে নেয়া হবে না। ফরমানের ভিত্তিতে যদি রায় হয় তাহলে সেই রায় জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে মুখর হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জাল নথি তৈরি করে একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হচ্ছে। তাকে যখন আদালতে হাজির করা হয় তখন স্বাভাবিকভাবে দলের নেতাকর্মীরা অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তায় থাকে। কিন্তু সরকারের মধ্যে যে বিষাক্ত অভিপ্রায় লুকিয়ে থাকে, তাদের আচারণ কী হবে সেটা আমরা জানি। পৈশাচিক আক্রমণ, লাঠিপেটা ও গ্রেফতার, এটার যেন কপালের লিখন হয়ে গেছে, জাতীয়তাবাদী শক্তির এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের।’

বুধবার ঢাকায় পুলিশের আক্রমণে ৫০ জনের অধিক বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত এবং প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী।

পাঠকের মতামত: