ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বান্দরবান আসন ঘরের আগুনে পুড়ছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি

bbaবান্দরবান প্রতিনিধি ::

এ মুহূর্তে বান্দরবান আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিজেদের ঘরের কোন্দলে দিশাহারা। বিএনপি দুই ধারায় বিভক্ত। একটি বর্তমান কমিটির সভাপতি মাম্যাচিং গ্রুপ অপরটি সাবেক সভাপতি  ও সাবেক এমপি সাচিং প্রু জেরী গ্রুপ। অপরদিকে আওয়ামী লীগ তিন ধারায় বিভক্ত, মূল ধারা বর্তমান এমপি পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিকে ঘিরে। তিনি পাঁচবার এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন অন্যদিকে দল থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মজিবর রহমানকে ঘিরে রয়েছে দুটি গ্রুপ। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে মামলার কারণে আত্মগোপনে আছে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি(জেএসএস)। উভয় দলের গৃহ-বিবাদ নিরসন না হলে আগামী নির্বাচনে বিশাল প্রভাব পড়বে। অবশ্য দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে দ্বন্দ্ব নিরসনে চেষ্টা করেও সফলতা আসেনি। এ আসনটিতে ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন। সে হিসাবে এই আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বীর বাহাদুর এমপি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়-এর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বীর বাহাদুর অন্যদের চাইতে এগিয়ে আছেন। তিনি দলীয় প্রোগ্রাম, বিভিন্ন অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করে জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। আওয়ামী লীগের অন্য দুই প্রার্থী প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ও কাজী মুজিবর রহমান দৃশ্যত কোনো প্রচারণা না চালালেও মোবাইল ফোনে ও বাড়িতে ডেকে এনে প্রচারণার কাজ চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এ তিনজনের নামই আলোচনায় রয়েছে। তবে এখানে বীর বাহাদুরের বিকল্প নেই। জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক মা ম্যা চিং  ও জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি সাচিং প্রু জেরীর নামই ঘুরে ফিরে আসছে প্রার্থী হিসেবে। জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কে এস মং ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) থেকে জেলা কমিটির আহ্বায়ক ছোটন কান্তিতঞ্চঙ্গ্যা  আগামী নির্বাচনে লড়বেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ: ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে সময় সারা দেশের চিত্র ভিন্ন হলেও বান্দরবানে বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিংকে জয়ী হতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। এ যাত্রায় তিনি কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দায়ে প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে বহিষ্কার করা হয়। এ ব্যাপারে প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, জেলার সিনিয়র নেতাদের ওপর বিভিন্ন কারণে বিরক্ত ছিলাম। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়েও সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচনে বিএনপি না আসলে দলের ভিতর থেকে যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। এ কারণেই নির্বাচন করা। ওই নির্বাচনের পর থেকে রাজনৈতিক ও মানসিক দূরত্ব তৈরি হয় উভয়ের মধ্যে। এদিকে বিভিন্ন কারণে অভিযোগ এনে দলের সিনিয়র নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুজিবর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে তাকে দলের বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়। এতে করে দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে কাজী মুজিবর রহমানে দূরত্ব দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে কাজী মুজিবর রহমান বলেন, হাতে গোনা কয়েকজন নেতা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। আমার কারণে তারা নিজেদের আখের গোছাতে পারছিল না। নিজেরা সুবিধা করতে না পারায় ওই নেতারা আমাকে বহিষ্কারের উসকানি দেয়। যেসব নেতারা উসকানি দিয়েছে তারা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সুখ, দুঃখের কথা বোঝে না। তারা কিভাবে দলের মঙ্গল কামনা করবে।
কাজী মুজিবর রহমান বলেন, বান্দরবান সংসদীয় আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে জেলা। আগামী নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন চাইবো। দল থেকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো।
প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি বাধ্য করে তাহলে দল থেকে মনোনয়ন চাইবো। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনের বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ও স্থানীয় রাজনীতির ওপর নির্ভর করছে। দলের ভেতরে সক্রিয় অনেক সিনিয়র ও তৃণমূল নেতাদের একটি অংশ এখনো যোগাযোগ রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ভালোমন্দ বোঝেন। তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, রাজনীতি একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোন রাজনীতিবিদ কোন দিকে উঠবে, কোন দিকে নামবে বলা যায় না। দলে সবাইকে প্রয়োজন। সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। কাউকে মাইনাস করে নয়। দলে থেকে সক্রিয়, নিবেদিত নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। দলে কোনো দ্বন্দ্ব-সংঘাত থাকলে তা নিরসনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দলের ভেতরে যে ফাটল ছিল তা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে।
প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা এবং কাজি মজিবর রহমানের ব্যাপারে তিনি বলেন, তাদের দুইজনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করার প্রশ্ন আসে না। তারা স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি হবে না।
বিএনপি: আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি’র গৃহ বিবাদই বেশি। আর এ কারণে বিএনপি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। সিনিয়র নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসন না হওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝেও মতানৈক্য বেশি। কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে কোন্দল নিরসনের উদ্যোগ নিয়েও সফলতা আসেনি। বিএনপি নেতাদের দ্বন্দ্ব প্রকটভাবে দেখা যায় যখন সংসদ নির্বাচন সামনে আসে। সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দুই পক্ষের বিরোধ তখন প্রকাশ্যে রূপ নেয়। ফলে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থীর ভরাডুবি দলের নেতাকর্মীরাই নিশ্চিত করে। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের মতবিরোধ চলমান। এই দ্বন্দ্ব আদৌ নিরসন হবে কিনা দলের সিনিয়র নেতারা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।
জেলা বিএনপির সভাপতি মা ম্যা চিং ও সাবেক সভাপতি সাচিং প্রু জেরি সম্পর্কে মামি-ভাগিনা। আবার দুইজনেই বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী বোমাং রাজ পরিবারের সদস্য। রাজ পরিবারের এই দুই সদস্যের মধ্যে দলের নেতাকর্মীরা বিভক্ত। গত কয়েকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজ পরিবারের এই সদস্যরা নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। আর নেতাকর্মীরাও দুই পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত করেছে নিজেরাই।
বিএনপি’র সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দ্বন্দ্ব আরো প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন, মিছিল, সমাবেশ করেছে। সদ্য জেলা কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাবেক পৌর মেয়র জাবেদ রেজা। তাকে নিয়েও সাচিং প্রু জেরি গ্রুপের মধ্যে মতানৈক্য আছে। জেরি গ্রুপের সমর্থিত নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাবেদ রেজাকে মেনে নিতে পারছে না। জেরি গ্রুপের কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানান, পৌর মেয়র থাকাকালীন সময়ে জাবেদ রেজা সরকারদলীয় এমপি বীর বাহাদুরের সঙ্গে সখ্য ছিল। জাবেদ রেজাকে পরিচালিত করেন সরকারদলীয় এমপি। মেয়র থাকাকালীন সময়ে সরকারদলীয় এমপি থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দলের বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ তুলেন নেতারা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাবেদ রেজা।
জাবেদ রেজা বলেন, দলের ভেতরে কোনো দ্বন্দ্ব, সংঘাত নেই। দলের শক্ত ভিত নরম করে দিতেই দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কথা বলা হচ্ছে। দলে দ্বন্দ্ব-সংঘাত নেই তবে মান অভিমান আছে। তা নিরসন হয়ে যাবে। মেয়র থাকাকালে সরকারদলীয় এমপির সুযোগ-সুবিধা নেয়ার কথা যারা বলছে, তারা দলে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে এমন কথা বলবেই।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাচিং প্রু জেরি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি যাকে পছন্দ করেন, যাকে মনোনয়ন দিলে জয় আসবে মনে করে তাকেই মেনে নেয়া হবে। তবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিশাল সমর্থন আমার পক্ষে রয়েছে। তাদের দাবিতে দল থেকে মনোনয়ন চাইবো। মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি কেন্দ্রের। কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই মেনে নেয়া হবে। জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক মা ম্যা চিং বলেন, তৃণমূলের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। এখন দল যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।
জেএসএস: পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহৎ আঞ্চলিক দল জেএসএস (পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি)। তাদের সমর্থন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশাল প্রভাব বিস্তার করে। এই আসনটিতে গত ছয়টি নির্বাচনে একবার দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসএসের দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যার পক্ষেই সমর্থন দেয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয় পাওয়ার পর থেকে জেএসএসের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরোধ বাড়তে থাকে। এই দুই দলের বিরোধ আরো চরমে পৌঁছেছে গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকে। ইউপি নির্বাচনের পর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মংপ্রু মার্মাকে অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেএসএস নেতাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দেয়া হয়। এরপর আরো কয়েকটি চাঁদাবাজির মামলায় সংযুক্ত করা হয়। মামলার পর থেকে জেলার সিনিয়র নেতারা বর্তমানে ঘর ছাড়া। জেলা কমিটির সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়। সভাপতিসহ কয়েকজন নেতা জামিন পেলেও বেশিরভাগ নেতাকর্মী জেলে রয়েছে। সিনিয়র অনেক নেতা এখনো জেলার বাইরে অবস্থান করছেন। এসব কারণে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন নাও দিতে পারে জেএসএস। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতিকরা। এই দলটি আগামী সংসদ নির্বাচনে যার দিকে সমর্থন দিবে সেই প্রার্থী জয় লাভের আশা রয়েছে এমন মনে করছেন স্থানীয় নেতারা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য, জেএসএস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি কে এস মং বলেন, সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে দলের নীতি নির্ধারকরা এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে দল অংশ গ্রহণ করবে। কাকে মনোনয়ন দিবে দল সিদ্ধান্ত নিবে।
ইউনাইটেড পিপলস্‌ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর জেলা আহ্বায়ক ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র থেকে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি। কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত: