জসিম মাহমুদ, টেকনাফ ::
তিন জন সাঁতারু টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিনের (বাংলা চ্যানেল) উদ্দেশে সাঁতার শুরু করেন। তাদের মধ্যে বেকি হাসর্ব্রো নামে একজন ইংল্যান্ডে নারী সাঁতারু বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সক্ষম হন। বাকি দুই জন মুসা ইব্ররাহীম ও ওয়াসিউর রহমান মাছের কাঁটার আঘাতে মাঝ পথে সাঁতার বন্ধ করে ট্রলারে উঠে পড়েন। রোববার সকালে সাড়ে ৯টার দিকে তারা শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে সাঁতার শুরু করেন। এরপর ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সাঁতরে দুপুর সোয়া ২ টায় সেন্ট মার্টিনে পৌঁছান বেকি। অর্থাৎ বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে ৪ ঘণ্টায় ৪৫ মিনিটে সময় লেগেছে এই নারী সাঁতারু।
তবে এক ঘন্টা সাঁতার কাটার পর মাঝ পথে সাঁতার বন্ধ করে দেন মুসা ইব্ররাহীম ও ওয়াসিউর রহমান। সাঁতারের দলনেতা ছিলেন মুসা ইব্ররাহীম। উদ্ধারকারী দলের নেতা ছিলেন এমরান হোসেন দুলু। তিনি এভারেস্ট একাডেমি ম্যানেজার ও এ সাঁতারের আয়োজক। এমরান হোসেন বলেন, ৪ ঘন্টা ৪৫ মিনিটে বিদেশি সাঁতারু বেকি সেন্টমার্টিনে পৌঁছান। তবে পায়ে আঘাত পাওয়ায় অপর দুই সাঁতারু মাঝ পথে সাঁতার বন্ধ করে দেন। পরে আমারা তাদের উদ্ধারকারী ট্রলারে তোলে নিই।
এর আগে ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকা বেজ ক্যাম্পের তিনজন সাঁতারু ফজলুল কবির, লিপটন সরকার ও সালমান সাঈদ প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল অতিক্রম করেন।সাঁতারু বেকি হাসর্ব্রো বলেন, বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে পেরে খুবই খুশি লাগছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন আরও করা হোক। বাংলাদেশে যুব সমাজকে আগ্রহী করতেই প্রতিবছর এ আয়োজন অব্যাহত রাখা যেতে পারে।
সাঁতারু মুসা ইব্ররাহীম দাবী করেন , এক ঘন্টা সাগর পাড়ি দেওয়ার পর হঠাৎ করে মাছের কাঁটায় পায়ে আঘাত পান। ফলে ৪র্থ বারের মতো বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া হলো না তার।তবে এর আগে বাংলা চ্যানেল ও এভারেষ্ট পাড়ি দেওয়ার সময় মুসার বিরুদ্ধে ভিবিন্ন অভিযোগ উঠেছিল।
পাঠকের মতামত: