পেকুয়া প্রতিনিধি :: চকরিয়া-পেকুয়ার জনগণ ত্রাণ চায়না, জনগণ চায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ, খাল খনন, সড়ক সংস্কার, আশ্রয় কেন্দ্র, মুজিবকিল্লা ও প্রর্যাপ্ত স্লুইস গেইট। তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার আমাকে পাঠিয়েছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য।
আজ বুধবার (৩১জুলাই) বিকেল ৩টায় পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে সাধারণ জনগণের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রানালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মোঃ এনামুুর রহমান এমপি কথাগুলো বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার আমলে ভয়বাহ ভয়বাহ ঘূর্ণিঝড়ে দেড় লক্ষাধিক মানুষ মারা গেলেও বিএনপি নেত্রী ঘুম থেকে ওঠে দুপুর ১২টায়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অনাহারে ও কষ্টে মারা গেলেও বিএনপি নেত্রী বলেছিলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে সরকার কি করবে। বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিছে মানুষ বসবাস করলেও বিএনপি নেত্রী শুধু নিজের সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রতিটি মানুষদের খবর রাখছেন। উপকূলীয় গ্রাম এলাকায় যারা বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বসতবাড়ি হারা হয়েছেন তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ বসতবাড়ি করে দেওয়া হবে। বর্তমানে ১২টি বসতবাড়ির কাজ চলমান রয়েছে। অারো ২৪ বাড়ি দেওয়া হবে। এর অাগেও গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়া হয়েছিল।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির নেত্রী প্রতিহিংসা নিয়ে রাজনীতি করে। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনাকে অস্বীকার করেছেন। যার কারণে জাতি তাদের ক্ষমা করেনি। ভোটের মাধ্যমে জনগণ উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।
চকরিয়া-পেকুয়ার সমস্ত অভাব আর দাবীর কথা আপনারা আপনাদের সাংসদ জাফর আলমের মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রেরণ করেন। আমরা তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব-উল করিমের সভাপতিত্বে উপজেলা আলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় ত্রাণ বিতরণ অনুষ্টানে আরো বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলম, পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।
পরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সাধারণ জনগণের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন মন্ত্রী ডাক্তার মোঃ এনামুর রহমান ও সাংসদ জাফর আলম।
পাঠকের মতামত: