সাটাফ রিপোর্টার :: বনভূমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধের উদ্যোগ নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। অধিবেশন শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অনেক কাজ। বনভূমিকে রক্ষা করা, পরিবেশ সুরক্ষা করা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসকদের অনেক সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। সেই বিষয়ে আমরা ওনাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার জন্য টিলা কাটা, পাহাড় কাটা, বৃক্ষ নিধন- এগুলোকে বন্ধ করার জন্য উনারা (ডিসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। বনভূমি যাতে কোনো অবৈধ দখলদার দখল করতে না পারে এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার বিষয়ে আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। প্রাণী সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্যের কথাও তাদের বলেছি। সবক্ষেত্রে ডিসিদের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। তাই আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছি।
বনভূমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৬ শতাংশ বনভূমি গড়ে তোলা। এসডিজি অর্জনের জন্য ১৬ শতাংশ আচ্ছাদিত বন আমাদের দেখাতে হবে। ১৬ শতাংশ বনায়নের জন্য আমরা ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছি। বর্তমানে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ বন রয়েছে। সামাজিক বনায়নের ক্ষেত্রে আমরা তো ২২ শতাংশের ওপরেই আছি।
তিনি আরো বলেন, দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ওনাদের (ডিসি) চিঠি দিয়েছি। কোন জায়গায়, কোন এলাকায়, কোন মৌজায় কতটুকু বনভূমি বেদখল আছে, সেগুলো উদ্ধারের জন্য ডিসিদের সহযোগিতা আমরা আগেই চেয়েছি। তালিকা ওনাদের কাছে আছে, প্রত্যেক জেলায় আমরা পৌঁছে দিয়েছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করছেন।
প্রভাবশালীরা অবৈধ ইটভাটার মালিক হাওয়ায় অনেক সময় জেলা প্রশাসকরা সেগুলো উচ্ছেদ করতে বাধার সম্মুখীন হন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, আমরা ইটের পরিবর্তে ব্লক প্রস্তুত করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছি। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি স্থাপনায় শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহার করতে হবে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা যখন শতভাগ ব্লকে যাবো তখন এমনিতেই ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাবে। অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে গিয়ে ডিসিদের কোনো সমস্যা হবে বলে আমরা মনে করি না। পুলিশ প্রশাসন তাদের সঙ্গে থাকবে। ফলে কোনো সমস্যা হবে বলে আমরা মনে করি না।
পাঠকের মতামত: