অনলাইন ডেস্ক :: ইয়াবা ‘গড়ফাদার’র অভিযোগ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচিত এমপি (সদ্য সাবেক) আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়। তিনি বিভিন্ন সময় বদির ইয়াবা সংশ্লিষ্টতা নিয়ে ফেসবুক ও গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তাঁর এসব বক্তব্য জাতীয় গণমাধ্যমওগুলো পর্যন্ত গুরুত্বের সাথে কাভার করেছে। একারণে ইশতিয়াক আহমদ জয়ও নানাভাবে আলোচিত হয়েছেন। এবার এমপি বদির আত্মসমর্পণ নিয়ে জয় নিজের ফেসবুকে দিয়েছেন আরেকটি আলোচিত স্ট্যাটাস। রোববার বিকাল ৩টার দিকে দেয়া এই স্ট্যাটাস অল্প সময়ের সময়ের মধ্যে ফেসবুকে ঝড় তুলেছে। এটি দ্রুত শেয়ার হচ্ছে। তাঁর এই স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।-
আমি যখন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব নেই তখন আবদুর রহমান বদি উখিয়া টেকনাফের এমপি।
যদিও তিনি এমপি হিসেবে নয় অন্য পরিচয়ে ভীষণ প্রভাবশালীর তকমা নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছিলেন।
তাঁর প্রভাব থেকে এড়িয়ে থাকা তখন প্রায় সকলের কাছেই কঠিন ছিল মূলত দুটি কারণেঃ
১) তাঁর ক্ষমতার দাপট
২) তাঁর কালো টাকার দাপট
এই দুই দাপটের কারণে এম্পি বদির অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কাউকেই স্থানীয় রাজনীতিতে দেখা যায় নাই।
আমি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেই কোন মাদকসম্রাট ও ইয়াবা গডফাদারের সাথে আমার এবং আমার সংগঠনের কোন রকমের সম্পর্ক থাকতে পারবেনা।
এবং দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকমাস পরই এমপি বদিকে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ হয়ে আমরাই কক্সবাজার জেলায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করি।
এরপর আমার উপর কতোটা ঝড় আসতে থাকে নানাদিক থেকে।
তার বিষদ বিবরণ লিখতে গেলে বড় আকারের গল্প হয়ে যাবে।যেই গল্পজুড়ে রয়েছে আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করার কিংবা ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলার অনেক অজানা কালো অধ্যায়।
তবুও আমি দমে যাইনি।
এক মূহুর্তের জন্যও আপোষ করিনি।
একাই প্রতিবাদ করেছি চিৎকার করেছি বারবার
এই দানবের বিরুদ্ধে কখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার কখনো রাজপথে।
এই প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার নানান ঘটনার জন্ম হয়েছে।বেশ কয়েকবার খবরের পাতায় এমপি বদির সাথে আমার রেশারেশির খবরও ছাপা হয়েছে।বদিকে নিয়ে লেখা আমার প্রায় সবগুলো পোস্ট জাতীয় পত্রিকার শিরোনামও হয়েছে।
এইসবের মধ্যেই..
অফ দ্য রেকর্ড জীবননাশের হুমকি যেমন
পেয়েছি তেমন পেয়েছি বিভিন্ন মানুষের সতর্ক করার নামে আমাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে আমাকে থামিয়ে দেয়ার মনোভাব।
দিন পেরিয়ে মাস যায়,মাস পেরিয়ে বছর…
এতো কিছুর পরেও সময় সময়ের নিয়মেই চলছে।
ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ থাকায় আবদুর রহমান বদিকে সরিয়ে তার স্ত্রী এখন উখিয়া টেকনাফের এমপি হয়েছেন।আর আবদুর রহমান বদি ও ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
অথচ তাঁর নামে আমি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বেড়াই এই অভিযোগ আমাকে শুনতে হয়েছে বহুবার।
যাই হোক,
আশাকরি আত্মসমর্পণের পর আবদুর
রহমান বদি ভাই সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন।
ইয়াবা ও বদির বিরুদ্ধে চালিয়ে যাওয়া
এই দীর্ঘ সংগ্রামে যারা আমার পাশে থেকে আমাকে সাহস যুগিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি রইলো অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।
সবাই বদি ভাই ও তার সহোদরদের জন্য দোয়া করবেন।উনারা সবাই যেন আত্নসমর্পণ প্রক্রিয়া শেষে ভাল মানুষের রুপেই সমাজে ফিরে আসে এই প্রত্যাশা রইলো।
শুভ কামনা থাকলো বদি ভাই আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের প্রতি…
পাঠকের মতামত: