ছালাম কাকলী :
মহেশখালী গোরকঘাটা রেঞ্জের আওতাধীন জেমঘাটের পূর্ব পাশে কাটাবন্যা নামক এলাকায় বিশাল উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী বাইন গাছ কেটে এসকেভেটার গাড়ী দিয়ে চিংড়ী ঘের নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছে। প্রকাশ্যে গত ২ মাস ধরে ২টি এসকেভেটার দিয়ে প্যারাবন কেটে চিংড়ী ঘেরের বাঁধ ও ক্যানেল নির্মাণ অব্যাহত রাখলেও বন বিভাগ নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
জানা যায়, গোরকঘাটা উপকূলীয় রেঞ্জের আওতাধীন জেম ঘাটের পূর্ব পাশে বিশাল প্যারাবন রয়েছে। দখলবাজরা এসব প্যারাবন কেটে খন্ড খন্ড করে ঐ এলাকায় কয়েকটি চিংড়ী নির্মাণ করেছে। এমনকি কাটাবন্যা নামক চিংড়ী ঘেরের পূর্বে পাশে রয়েছে বিশাল প্যারাবন। এ প্যারাবন কেটে চকরিয়া উপজেলার নাগু সওদাগরের পুত্র মিজান নামক এক ব্যক্তি ২টি এসকেভেটার গাড়ী দিয়ে চিংড়ী ঘেরের বাঁধ ও ক্যানেল নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। এসব নিধনজঙ্গ দেখলে মনে হয় বন বিভাগ রক্ষা করার কেউ নেই। এদিকে সরেজমিনে অনুসন্ধান করতে একদল সাংবাদিক গত ৩ জানুয়ারী বিকেলে উক্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলে এ নিধনজঙ্গের ছবি তোলতে গেলে মিজানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিকদেরকে ছবি না তোলার জন্য বারং করে। তবুও সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্ত্রাসীদের সামনে এ নিধনজঙ্গের ছবি তোলতে সক্ষম হয়। পরে এ সংবাদটি পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য চকরিয়ার কয়েক জন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা মোবাইলে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান। অপরদিকে প্যারাবন কেটে এ নিধনজঙ্গ অব্যাহত রাখলেও দখলবাজদের বাঁধা না দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে শাপলাপুর উপকূলীয় বনবিট কর্মকর্তা জানান , দখলবাজদের কাছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে বিধায় ঐখানে যেতে তারা সাহস পাচ্ছেনা। এ ব্যাপারে র্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপকূলীয় বন কর্মীরা ।
পাঠকের মতামত: