উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে উষ্ণমণ্ডলীয় নিম্নচাপ। আর এর প্রভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে শিগগিরই প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, গতকাল রোববার এই নিম্নচাপ মিয়ানমারের উত্তর-পূর্ব দিকে যেতে দেখা গেছে। এর আগে এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম দিকে বাঁক নিয়েছিল।
এই নিম্নচাপের প্রভাবে মিয়ানমারের উপকূলীয় অঞ্চল, বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর ওপর মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে, যা বন্যায় রূপ নিতে পারে।
ভারত মহাসাগরের উষ্ণ পানি থেকে শক্তি সঞ্চয় করছে নিম্নচাপটি। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে, যা আরো শক্তি সরবরাহে সক্ষম।
এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ১১৯ কিলোমিটার বাতাসের গতি প্রয়োজন। অবশ্য যদি এই গতি না-ও হয়, তবু যে মাত্রার বন্যা সৃষ্টি হতে পারে তা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ হতে পারে।
জাতিসংঘের রিস্ক মডেল অনুসারে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে মিয়ানমার। দেশটির দুই মিলিয়ন অধিবাসী ভয়াবহ বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের দুটি সময় রয়েছে। এর একটি হলো এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে যখন বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর দ্বিতীয়টি হলো সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম ভাগ পর্যন্ত। এ সময় থাকে মৌসুমি বায়ুর ঝুঁকি।
মিয়ানমারের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম ঋতুটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ২০০৮ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের আঘাতে দেশটির এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হন।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সময়টি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ১৯৭০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে আঘাত হানে ইতিহাসের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়। সেই ঝড়ে অন্তত কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারান।
পাঠকের মতামত: