ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রবল বর্ষণে লবণ চাষে ব্যাপক ক্ষতি চকরিয়া-পেকুয়ায়

solte mate pekuaনিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :::

বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার একর মাঠে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে এই অবস্থা বিরাজ করায় অনেক চাষির মাথায় হাত উঠেছে। তিনদিন ধরে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় কয়েক কোটি টাকার লোকসানের সম্মুখীন হবেন চাষিরা। তবে দুএকদিনের মধ্যে এই বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে দেদার লবণ উৎপাদন হওয়ার আশা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।

গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লবণমাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণজোড়া লবণমাঠে ইতিপূর্বে বিছানো পলিথিন মুড়িয়ে মাঠেই ফেলে রেখেছেন চাষিরা। অনেকস্থানে এখনো পলিথিন মোড়ানোর কাজ করছেন হাজারো চাষি।

তিনদিনের বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চকরিয়ার পশ্চিম বড় ভেওলা, বদরখালী, সাহারবিল, চিরিঙ্গা, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, খুটাখালী, ডুলাহাজারা ও পেকুয়ার সদর, রাজাখালী, উজানটিয়া, মগনামা, টৈটংসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো চাষি।

চকরিয়ার বৃহত্তর লবণ চাষি হারুণুর রশিদ জানান, সনাতন পদ্ধতিতে যেসব চাষি লবণ উৎপাদন করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেশি। সে তুলনায় পলিথিন পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদনকারী চাষিরা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কেননা বৈরী আবহাওয়া শুরুর পরই চাষিরা লবণমাঠে বিছানো পলিথিন একেবারে মুড়িয়ে মাঠেই ফেলে রাখেন। আর উৎপাদিত লবণ মাঠের মধ্যে করা গর্তেই মজুদ করে ফেলেন আগেভাগে। এর পরেও দুই উপজেলার হাজারো চাষির কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হবে। তবে দুএকদিনের মধ্যে বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে দেদার লবণ উৎপাদন হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ লবণচাষি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এইচ এম শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন দুএকদিনের মধ্যে বৈরী আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে। এর পর দেদার লবণ উৎপাদন হবে কক্সবাজারের আট উপজেলা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। তখন সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত করে উদ্বৃত্ত উৎপাদিত লবণ বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। তবে বৈরী আবহাওয়ার ধুঁয়া তুলে সিন্ডিকেট চক্র যাতে বিদেশ থেকে লবণ আমদানির পায়তারা না করে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও যাতে বিষয়টি মাথায় রাখেন সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে হবে।

পাঠকের মতামত: