কক্সবাজার সদরের উপকূলীয় পোকখালীর গোমাতলীতে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে ইউনিয়নের ৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১ হাজার বাড়ি-ঘর। ভেঙে গেছে উপকূলের ৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। সকাল থেকে রোয়ানুর প্রভাবে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্ট হয়। এসময় সদরের পোকখালী, গোমাতলী ও চৌফলদন্ডী এলাকার শতাধিক গ্রাম ৩-৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। বাতাসের তোড়ে প্রায় এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।
পোকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, গোমাতলী-চৌফলদন্ডী এলাকায় ৩ কি.মি. এলাকা নিচিহ্ন হয়েছে। এসব এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ১৯৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের পর এবারই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক ঘর-বাড়ি ভেঙে গেছে, বেড়িবাঁধ ভেঙে ১ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া ও বাড়ি-ঘর এলাকায় চলাচল করতে গিয়ে কম-বেশি আহত হয়েছেন ২০ জন।
কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু তালেব জানান, সদরের উপকূলীয় পোকখালীর পশ্চিম গোমাতলী বাঁশখালীপাড়া ও উত্তর গোমাতলী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বৃহত্তর গোমতলীর প্রায় ১০ হাজার একর চিংড়ি ঘের ৫-৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর। পানির সঙ্গে মিলিয়ে গেছে লাখ লাখ টাকার লবণ। কম বেশি আহত হয়েছেন ২৫ জন।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু সকালের দিকে কক্সবাজারে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এটি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, প্রেস ব্রিফিংয়ে যা বলা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য। অনেক এলাকা হয়তো হিসাবের বাইরে রয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া আছে সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষয়-ক্ষতি নির্ণয় ও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।
পাঠকের মতামত: