এম আবু হেনা সাগর ঃ নিজস্ব প্রতিনিধি, ঈদগাঁও
কক্সবাজার সদর উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন পোকখালীর গোমাতলীতে জেলা পুলিশের উদ্যেগে ব্যতিক্রমধর্মী ভাবে প্রাকৃতিক দূর্যোগ বিপন্ন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এতে অসহায় ও পানিবন্দি পাঁচশতাধিক মানুষ ত্রাণ পেয়ে মহা খুশিতে উৎফুল্ল বললেই চলে। এদিকে ২১ জুন দুপুর বেলায় ইউনিয়নের পশ্চিম গোমাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা পুলিশ সুপার ড.একেএম ইকবাল হোসনের সভাপতিত্বে এবং পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ বিতরণ কালে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম রেঞ্চের ডিআইজি এসএম মনির উজ-জামান (বিপিএম,পিপিএম)। অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, সদর সাকেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল কুদ্দুস, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত কুমার বড়–য়া, চকরিয়া সাকেল মতিউল ইসলাম, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সরওয়ার কাবেরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী, ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খায়রুজ্জামান, পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ, ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই দেবাশীষ সরকার, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এমইউপি, ঈদগাঁও রিপোটার্স সোসাইটির সভাপতি এম আবু হেনা সাগর, সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম রোস্তম মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাকিম নুকী সহ এমইউপি, গ্রামপুলিশ সহ সুশীল সমাজের লোকজন অংশ নেন। পোকখালীর গোমাতলীতে অসহায় লোকজন বৃহৎ পরিসরে এই প্রথম বারের মত ত্রাণ পেয়ে খুশির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানান।
####################
ক্ষত-বিক্ষত গোমাতলীর সড়ক যোগাযোগ
॥এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও॥
লবণ ও মৎস্য খ্যাত এলাকা হিসাবে সু-পরিচিত পোকখালীর গোমাতলী। এটি বর্তমানে ক্ষত-বিক্ষত যোগাযোগ সড়ক বললেই চলে। মানুষজনের চলাফেরা অনেকটা দায় হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবি, সাধারণ লোকজন ও নারীরা যাতায়াতে নিধারুন কষ্ট পাচ্ছে। জেলা সদরের উপকূলীয় এলাকা পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীবাসী গেল ঘূর্ণিঝড় মোরা’সহ পরবর্তী সময়ে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে গোমাতলী হয়ে ঈদগাঁও আসার প্রধান সড়কটি ভেঙ্গে খাঁন খাঁন হয়ে পড়েছে। এক কথায় ক্ষত-বিক্ষত গোমাতলীর একমাত্র যোগাযোগ সড়কটি। ৬নং সুইচ গেইট সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এখনো পরিপূর্ণ ভাবে সংস্কার না হওয়ায় বৃহত্তর এলাকার লোকজনদেরকে সকাল-সন্ধ্যা দু’বার করে জোয়ারের পানির সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে। বাপ-দাদার পুরনো ভিটে বাড়ি কিংবা স্বামীর দেওয়া জায়গা ছেড়ে অনেকে অন্যত্রে সরিয়ে যেতে নারাজ। যতই বৃষ্টি আর তোফান আসুক না কেন? নিজ জমির উপর বসতি থেকে পিছপা হবে না বলে জানান কয়েক অসহায় নারী। এভাবে অসংখ্য কষ্টে নিপতিত হওয়া মানুষজন মলিন চেহারায় আক্ষেপ কণ্ঠে জানান- একদিকে প্রতিনিয়ত জোয়ারে পানিতে বিধ্বস্ত, অন্যদিকে রাস্তাঘাটের করুন দশা। এত কষ্ট সহজে মেনে নেওয়া যায় না। দূর্ভোগ আর দূর্গতির মধ্য দিয়ে গোমাতলী এলাকাবাসীকে অতি কষ্টের বিনিময়ে দিন পার করতে হচ্ছে। পশ্চিম গোমাতলীর বাজার হতে ঈদগাঁও বাজারে আসে নানা কাজ কর্মের লক্ষে প্রতিনিয়ত প্রায় দশ হাজার নর-নারী। এই যোগাযোগ সড়কের বেহাল দশার চিত্র দীর্ঘদিনের। সংস্কারের নেই কোন কারও মাথা ব্যাথা। পুরো সড়ক জুড়েই খানা খন্দকে ভরপুর। বহু কষ্ট আর ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে লবণাক্ত পানি পেরিয়ে মা-বোন ও পুরুষরা প্রয়োজনীয় কাজে জেলা সদরের গুরুত্ববহ ঈদগাঁও বাজারমুখী হতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে ২১ জুন গোমাতলীর প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে লবণ মাঠ আর বিলে পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখনো পর্যন্ত বহু গ্রামের চারপাশে অথৈয় পানি। চলাফেরার কোন সু-ব্যবস্থা নেই। আসন্ন ঈদ মৌসুমেও বিশাল এলাকাবাসীকে ঈদের খুশির আনন্দের পরিবর্তে হতাশার কালো ছায়া বিরাজ করার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই দ্রুততম সময়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার সহ যোগাযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে দূর্ভোগ আর দূগতি থেকে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান সচেতন মহল।
———————————————————-
ঈদগাঁওতে হুন্ডিচক্রের দৌরাত্ম্য ঃ হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব
॥এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও॥
সদরের জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঈদগাঁও বাজারসহ গ্রামাঞ্চলে হুন্ডি চক্রদের দৌরাত্ব চরমে।এ কাজে জড়িত রয়েছে বহুজনের অধিক স্থানীয়সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকা বিত্তশালী আত্বীয়-স্বজন ও সংঘবদ্ব চক্র। এদের কারণে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে ঈদগাঁওর হুন্ডি ব্যবসায়ী চক্ররা। জানা যায়, সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ঐসব হুন্ডি ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা। এদিকে এতদঅঞ্চলের শত শত রোহিঙ্গা নাগরিকসহ দেশের হাজার হাজার মানুষ অবস্থান করছে সৌদিআরব, দুবাই, ইতালি, জার্মান,কাতার, ওমানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে। তাদের আত্মীয়-পরিজনরা বর্তমানে বিভিন্ন লোকালয়ে অবৈধভাবে বসবাস করার ফলে প্রতিদিন বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জনের মতে, হুন্ডি ব্যবসার সাথে বহুজন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে জড়িত রয়েছে। এছাড়া তাদের সাথে রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। আসন্ন ঈদকে ঘিরে নতুন করে মাঠে নামতে যাচ্ছে এরা। এমনকি এ এলাকায় হাজার হাজার টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হচ্ছে বলে নানা সূত্রে প্রকাশ। এ ব্যাপারে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।
পাঠকের মতামত: