পেকুয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় চড়াপাড়া থেকে বারবাকিয়া বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংস্কারকাজে নিম্নমানের উপকরণের ব্যবহার ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় সরকারী বিপুল অর্থ লোপাট হচ্ছে। একইসাথে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন।
গত দুই সপ্তাহ ধরে সংস্কারকাজে এ অনিয়ম দুর্নীতি চলে আসলেও এর বিরুদ্ধে দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অত্যন্ত নিম্নমানের ইটের খোয়া, পাথর ও বালি ব্যবহার করে সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে। সড়কে ব্যবহারের জন্য মজুদ করা হয়েছে মানহীন বিটুমিন। নিম্নমানের এসব উপকরণ সংস্কারকাজে ব্যবহার না করতে অনুরোধ করা হলেও এতে কর্ণপাত করছেনা প্রভাবশালী ঠিকাদার মোঃ পারভেজ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেকুয়া শাখার অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সংস্কারকাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সরকারী টাকা লুঠে মেতেছেন ওই ঠিকাদার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, বারবাকিয়া বাজার থেকে চড়াপাড়া সড়কটি সংস্কারের জন্য চলতি অর্থবছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আসিফ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংস্কারকাজটি বাস্তবায়নের আদেশ পান।
এ কার্যাদেশে সড়কটি সংস্কার সহ বারবাকিয়া বাজার সড়কে আড়াই শত মিটার সিসি ঢালাই, কসাইপাড়া কালভার্ট এলাকায় ২৫মিটার সিসি ঢালাই, এতিমখানা এলাকায় ২৫মিটার ড্রেন ও চড়াপাড়া বারবাকিয়া বাজার সড়কে দুটি ছোট কালভার্ট (ইউ ড্রেন) নির্মাণ করা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, শীলখালী ইউনিয়নের এতিমখানা এলাকায় সড়ক সংস্কারকাজে ব্যবহারের জন্য নিম্নমানের ইট এনে খোয়া বানানো হচ্ছে। শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে পৃথকভাবে প্রায় ১০০মিটার সড়ক যেনতেনভাবে সংস্কার করা হয়েছে।
কম পরিমাণ উপাদান ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তড়িঘড়ি করে সড়কের এ অংশের সংস্কারকাজ শেষ করা হয়েছে। এছাড়া সংস্কারকাজের জন্য চড়াপাড়া এলাকায় এনে মজুদ করা হয়েছে নিম্নমানের পাথর, বালি ও বিটুমিন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ পারভেজ বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সংস্কারকাজটি করছে। এখানে নিম্নমানের কোন উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পেকুয়া উপজেলার প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) জাহেদুল আলম বলেন, আমি পরিদর্শনে গিয়ে সংস্কারকাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের সত্যতা পেয়েছি।
এব্যাপারে ঠিকাদারকে সতর্ক করা হয়েছে। সংস্কারকাজে আমাদের নিয়মিত নজরদারী রয়েছে। তারপরেও কোন অনিয়ম করা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ।
পাঠকের মতামত: