পেকুয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় রাজাখালী জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক মেম্বার হোসাইন শহীদ সাঈফুল্লাহ(৩১) গুরুতর আহতের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘঠেছে, গতকাল ১৮সেপ্টম্বর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজাখালী ইউনিয়নের সবুজ বাজার এলাকার মোনাফ সওদাগরের পানের দোকানের সামনে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাজাখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক মেম্বার হোসাইন শহীদ সাইফুল্লাহ স্থানীয় সবুজ বাজার এলাকায় পৌঁছালে একই ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়া এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী শাকের আলম, মৃত এশাদ আলীর পুত্র মাদক ব্যবসায়ী রেজাউল, জয়নাল ও ¦ামলিা পাড়া এলাকার মৃত নাগু মিয়ার পুত্র আমিনের নেতৃত্বে ১৫/২০জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জাপা সভাপতির কাছে ৮০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক চুলও নড়াচড়া করলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। ঘটনার আকষ্মিকতায় জাপা নেতা সাইফু সন্ত্রাসী আচরনের প্রতিবাদ জানালে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা জাপা নেতা সাইফুলকে প্রানণাশ চেষ্টায় তাদের হাতে থাকা বন্দুক, দা, কিরিচ, লোহার রড ও লাঠিশোটা নিয়ে বেদম মারধা করে। এতে ঘটনাস্থলেই জাপা নেতা সাইফলু গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাদেরও গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। পরে, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে পেকুয়া থানার ওসি’র নির্দেশে একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে আহত জাপা নেতা হোসাইন শহীদ সাইফুল্লাহকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক উল্লেখ করে রেফারের প্রয়োজন হতে পারে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান। রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই ও আহতকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করি। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জাপা নেতার প্রাণণাশ চেষ্টায় সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশদল পাঠাই ও আহতকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
#################
পেকুয়ায় বন বিভাগের নিরবতায় গড়ে উঠছে নিত্য নতূন বসতি!
পেকুয়া প্রতিনিধি ::::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বনবিভাগের রহস্যজনক নিরবতা আর প্রভাবশালীদের চত্রচ্ছায়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গড়ে উঠছে নিত্য নতূন বসতি। ঘটনাটি ঘঠছে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা পূর্বপাড়া এলাকায়। স্থানীয় আহমদ নবী কন্ট্রাক্টর নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কয়েক বছর পূর্বে টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত কালু মিয়ার পুত্র জহির উদ্দিনের কাছ থেকে ২দফায় সাড়ে ৮কানি রিজার্ভ দখলীয় জায়গা খরিদ করেন তিনি। স্বত্ব বিক্রেতা জহির জহির উদ্দিন প্রথম দফায় বেচাকেনা জায়গার দখলও বুঝিয়ে দেন। কিন্তু ২য় দফার জায়গার দখল বুঝিয়ে দিতে তালবাহানার আশ্রয় নেন। এনিয়ে ঊভয়ের মধ্যে মতবিরোধ চরমে পৌঁছালে ক্রেতা ঠিকাদার আহমদ নবী জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ওই মামলার জের ধরে বিক্রেতা জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেন। ওই পরোয়ানা সূত্রে জহির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠায় পুলিশ। জায়গা বিক্রেতা জহির জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরলে পুনরায় দু’জনে স্বত্ব দখল বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে বিরোধে জড়ান। এসময় জায়গা বিক্রেতা জহির দখল বুঝিয়ে দিতে তালবাহানার আশ্রয় নেন ও ঠিকাদার আহমদ নবীর কাছে বিক্রির আগে অন্য একজনের কাছে বিরোধীয় স্বত্ব হস্তান্তর করে দেওয়ার প্রমান মেলে। এদিকে, উক্ত বিরোধ মেটানোর আগেই প্রতারক জহির উদ্দিন ফের গোপনে বিরোধীয় জায়গাটি উপজেলার মগনামা এলাকার এক লোকের কাছে বিক্রি করে দখল হস্তান্তর করে দেন। সম্প্রতি ওই বিরোধীয় জায়গার পাহাড়ের মাটি কেটে বসতি নির্মান শুরু করে নতুন ক্রেতা। খবর পেয়ে প্রথম ক্রেতা ঠিকাদার আহমদ নবী বাঁধা দিতে গিয়ে ব্যর্থ হলে বিষয়টি স্থানীয় বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পাহাড়ি ঠিলা কেটে বসতি নির্মানের অভিযোগ স্বত্বেও এখনো পর্যন্ত্য কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বনবিভাগ। এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জহির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নাকচ করে বলেন, টাকা হলে কুকুর ছানাও কিনতে পারে কিন্তু বনবিভাগের সংরক্ষিত জায়গা জমি কেনার নিয়ম নাই যেখানে সেখানে নব্য ধনকুবের আহমদ নবী কিভাবে বনবিভাগের স্বত্ব খরিদ দখল করার যোক্তিকতা নাই। বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে পাহাড় কেটে বসতি নির্মানের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই বনবিভাগ সরোজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। বনবিভাগের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনায় জড়িতরা পালিয়ে যায়। তবে, বিরোধীয় স্বত্বে সার্বক্ষনিক নজরদারী অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: