পেকুয়া প্রতিনিধি :: পেকুয়ায় সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় চিকিৎসক ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ অন্তত ৫ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
জানা যায়, আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের হাজিরঘোনা এলাকার বাসিন্দা ডা. শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। ডেন্টিস্ট ডা. শফিকুল ইসলাম পেকুয়া নূর হাসপাতালের দাঁতের চিকিৎসক। এসময় তার সহোদর ব্যাংক কর্মকর্তা মুনিরুল ইসলামও আহত হন।
আহতপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী নঈমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী কিছুদিন আগে বাঘগুজারা স্টেশনে ডা. শফিকুল ইসলামের ছোট ভাই ইসমাঈলের মালিকানাধীন একটি দোকানঘর আওয়ামী লীগের অফিসের নাম দিয়ে দখল করে নেয় ছাত্রলীগ পরিচয়দানকারী নঈম। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে নঈম তাদের ওপর এ হামলা চালায় বলে জানান তারা।
আহত শফিকুল ইসলামের ভাই আইনজীবী সহকারী ইলিয়াছ চকরিয়া নিউজকে জানান, ‘গতরাত ৯টার দিকে আমার ভাইয়ের ওপর ১ম দফা হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানাকে অবহিত করি। আজ (শনিবার) সকালে আহত দুই ভাই নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে পতিমধ্যে ওঁৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।’
হাসপাতালে বেডে শুয়ে থাকা আহত ডেন্টিস্ট শফিক চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘তখন আমি স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচ নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করতে ধেয়ে আসছে কিন্তু এরপর আর কিছু জানি না। পরে হাসপাতালে বিছানায় দেখলাম আমার শরীরে অনেকগুলো কোপের আঘাত। শুধু আমাদের ওপর হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। আমার মায়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করেছে। আমরা দুই ভাইয়ের মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে।’
আহত ব্যাংক কর্মকর্তা মুনিরুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে বলেন, “সন্ত্রাসী নঈম পেকুয়ার আরেক ‘নয়নবন্ড’। সে যেভাবে আমাকে এবং আমার ভাইকে কুপিয়েছে তা ভিডিও করে রাখতে পারলে দেশবাসী দেখতে পারত।”
এ বিষয়ে জানতে শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘আহতপক্ষের একটি দোকান স্থানীয় নঈম দখলের বিষয়ে আমি শালিস করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু একপক্ষ না মানায় তা আমি ছেড়ে দেয়ার একদিন পরেই এ হামলার ঘটনাটি ঘটল।’
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘আমরা ঘটনার কথা শুনেছি তবে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
এ ঘটনায় আহতরা হলেন ব্যাংক কর্মকর্তা মুনিরুল ইসলাম (৪০), ডা. শফিকুল ইসলাম (২৮), মো. ইউনুছ (৪৫), জামিলা আক্তার (৫৫), হাফসা বেগম (৩০)। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে আহতপক্ষ।
পাঠকের মতামত: