ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় শ্বশুরের হামলায় পুত্রবধূ ও নবজাতকসহ আহত-২

নাজিম উদ্দিন  পেকুয়া ::

পেকুয়ায় শ্বশুরের হামলায় পুত্রবধূ ও ১০দিন বয়সী এক নবজাতক আহত হয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শ্বশুর, দেবর ও শ্বাশুড়ি মিলে পুত্রের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় উত্তেজিত হয়ে তারা পুত্রবধুকে নির্দয় কুপিয়ে ও পিঠিয়ে আহত করে। এমনকি তারা পুত্রবধুর সদ্য নবজাতককে মায়ের কোল থেকে টানাহেছড়া করে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় তারা বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে নগদ টাকা ও আসবাবপত্র নিয়ে যায়। গুরুতর আহতবস্থায় দু’জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে, ৩১জানুয়ারি রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের রমিজপাড়া গ্রামে। আহতরা হলেন, ওই এলাকার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী তছলিমা বেগম(৩৩) ও তার ১০দিন বয়সী কণ্যা শিশু উম্মে সানজিদা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রমিজ পাড়া এলাকার জসিম উদ্দিনের সাথে তার পিতা নজির আহমদের লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে ওইদিন সকালে নজির আহমদ, তার স্ত্রী ও ছেলেসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী স্থানে ছেলের বসতবাড়িতে যান। এসময় ছেলের অনুপস্থিতিতে নজির আহমদের সাথে পুত্রবধূ তছলিমার বাকবিতন্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তাকে ও তার নবজাতককে পিঠিয়ে আহত করে স্থানীয়রা আরো জানিয়েছেন, জসিম উদ্দিন পার্বত্য চট্রগ্রামের শঙ্গ মোকামে গাছ কাটার জন্য লোকজন নেন। তিনি শ্রমিকদের মজুরির টাকা বাড়িতে সংরক্ষন করেন। ওই টাকা তার পিতা নিয়ে যায়।

এব্যাপারে পুর্ব সোনাইছড়ি ঢালারমুখ সমাজ কমিটির প্রধান নাছির উদ্দিন সওদাগর জানিয়েছেন এর আগেও নজির আহমদ তার পুত্র তছলিমাকে হাতে কুপিয়ে ২টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করেছে। এসময় ওই মহিলা চার মাস হাসপাতালে ছিল। সে একজন দুর্ধর্ষ লোক। নজির আহমদ জানিয়েছেন, ছেলে অবাধ্য হয়েছে। তার জন্য আমি মানুষের কাছে দেনা হয়েছি। গত কিছুদিন আগেও তার কর্জ শোধ করতে আমি স্ট্যাম্প দিয়েছি। তাই অতিষ্ট হয়ে তার বাড়ি থেকে আসবাপত্র নিয়ে এসেছি।

পাঠকের মতামত: