পেকুয়া প্রতিনিধি ::
কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার মগনামা এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জলদস্যু তারেক (৩০) নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তারেক কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরং এলাকার আব্দুস শুক্কুরের ছেলে। তারেক কুতুবদিয়া কুখ্যাত জলদস্যু দল দিদার বাহিনীর প্রধান দিদারের প্রধান সহযোগী বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, কিছুদিন আগে দিদার বাহিনী বঙ্গোপসাগর থেকে কয়েকটি মাছ ধরার নৌকা মাঝিসহ অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দেন দরবার চলছিল।
এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে তারেকসহ একদল জলদস্যু মুক্তিপণের টাকা নিতে মগনামায় আসেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযানে গেলে জলদস্যুরা উপস্থিতি টের পেয়েই র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে উভয়দলের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।
একপর্যয়ে জলদস্যু বাহিনী পিছু হটলে র্যাব ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি একটি পিস্তল, দুইটি ওয়ান শুটার গান, ২৩ রাউন্ড তাজা ও চার রাউন্ড ব্যবহৃত কার্তুজ এবং জলদস্যু তারেকের মরদেহ উদ্ধার করে।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ফেরদাউস জানান, কুতুবদিয়ার জলদস্যু সম্রাট দিদার বাহিনী গঠন করে দীর্ঘদিন ধরে সাগর ও উপকূলে ডাকাতি, দস্যুতাসহ এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। এ বাহিনীর অত্যাচারে এলাকাবাসীসহ বিশেষ করে সাগরের জেলেরা অতিষ্ঠ। সেই দিদার বাহিনীর দিদারের প্রধান সহযোগী হচ্ছেন এই তারেক।
ওসি মো. দিদারুল ফেরদাউস আরও জানান, তারেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, দস্যুতা, ডাকাতিসহ মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে।
পাঠকের মতামত: