এস এম জুবাইদ ,পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাই মামলায় দুই বারের নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে তিন নাম্বার আসামি করা হয়েছে। সেই আসামি হলেন উজানটিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
এ মামলাটি করেন উজানটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব উজানটিয়া নূরীর পাড়া এলাকার মৃত মৌলভী নুরুল হকের পুত্র মুমিনুল হক রোকন বাদী হয়ে পেকুয়া থানায়। এ মামলায় আরো ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারসূত্রে জানা যায়,২১ জুলাই দুপুর ২ টায় বাদী মুমিনুল হক রোকন পেকুয়া বাজারে চিংড়ি মাছ বিক্রি করে বাড়ী ফেরার পথে উজানটিয়া ইউপির গোদারপাড় স্টশনে কলিমের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা বিবাদীগণ তাকে গতিরোধ করে। বিবাদীগণের হাতে থাকা হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার কুমরে থাকা নগদ ১ লক্ষ টাকা ও একটি ১২ হাজার টাকা দামের স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত রোকন বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় এজাহার দেয়। পেকুয়া থানার ওসি এজাহার আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রুজু করে। যার নং০১/২২ ইং। মামলার অন্য আসামিরা হলেন ওই এলাকার মৃত রোকন উদ্দিনের পুত্র কাফি, জয় এবং কফিল উদ্দিনের পুত্র আরফাত।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, মুমিনুল হক রোকন গত ১৯ জুলাই স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মৌলভী নুরুল আলমকে আযান দেওয়া এবং তার পিছনে নামাজ না পড়া নিয়ে গালমন্দ করে। মোয়াজ্জিম প্রতিবাদ করলে এক পযার্যে ওই মোয়াজ্জিমকে মারধর করে রোকন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী কে মোয়াজ্জিম অবগত করে এবং এ নিয়ে মোয়াজ্জিম মৌলভী নুরুল আলম বাদী হয়ে মুমিনুল হক রোকন কে বিবাদী করে পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। ২১ তাং দুপুরে উজানটিয়া ইউপির গোদারপাড় স্টশনে কলিমের চায়ের দোকানে মোয়াজ্জিমের ঘটনার বিষয়টি নিয়ে কফিল উদ্দিনের পুত্র আরফাতের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় শহিদ চেয়ারম্যান এসে দুইজনকে বকা দিয়ে ওখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে মুমিনুল হক রোকন কার ইর্ষারাই ইর্ষানিত হয়ে তিল কে থাল বানিয়ে ২১ জুলাই তারিখের আসল ঘটনাকে আড়াল করে ৩ আগষ্ট একটি ছিনতাই মামলা রেকর্ড করায় পেকুয়া থানায়। ওই ঘটনায় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী উভয় পক্ষকে বকা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার অপরাধে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাই মামলার আসামী হল। এ মামলায় ২ জন আসামী চট্টগ্রামে থাকে। ওদিনও চট্টগ্রামে ছিল। ওখানে থাকার পরও মামলার আসামি হল কিভাবে।
সচেতন মহল বলেন, পেকুয়া থানা পুলিশ কি ঘটনার তদন্ত না করে বাদী যেমন তেমন এজাহার দিলে মামলা নিয়ে নেন। অতীতে তো এমন হত না বর্তমানে কি নতুন আইন বা নিয়ম চালু হয়েছে।
এ বিষয়ে উজানটিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মামলার আসামী এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন ১৯ তারিখে মোয়াজ্জিনের ঘটনা নিয়ে ওসি সাহেবের সাথে কথা হয়েছে এবং তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। পরে আমি যখন শুনি আমার বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলার জন্য এজাহার জমা দিয়েছে তখনই ওসি সাহেবকে বলি বিষয়টি কি রকম হচ্ছে তখন তিনি বলেন আমি বিষয়টি দেখতেছি বলেই একটি মামলা রেকর্ড করে নিলেন। এটি সম্পন্ন ষড়যন্ত্র মূলক মামলা। আমি আইনগত পদক্ষেপ নিবো।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ আলীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত: