প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: কক্সবাজারেরর পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নে বিতর্কিত এনজিও এসএআরপিভি কর্তৃক বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণের জন্য প্রণীত উপকারভোগীদের তালিকায় সীমাহীন স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ও অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ায় উক্ত তালিকা বাতিলকরণে কর্মসূচী ঘোষনা করেছে ‘আমরা পেকুয়াবাসী সংগঠন’।
অদ্য ১৭ জুন সংগঠনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, বিশ্ব খাদ্য সয়স্থার ত্রাণ বিতরণের তালিকা নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এনজিও এসএআরপিভি কতিপয় ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ ইন্দনে ও সহযোগীতায় রাজনীতি শুরু করেছে। সম্প্রতি এসএআরপিভি সাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে যোগসাজস করে ত্রাণের যে তালিকা প্রস্তুত করেছে, সেখানে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গণহারে অন্তর্ভূক্তি, সীমাহীন দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম-দূর্নীতি, জনপ্রতিনিধিদের তালিকায় অন্তর্ভূক্তি, ধনাঢ্য লোকদের ত্রাণের তালিকায় রেখে নজিরবিহীন অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ত্রাণের তালিকাতে সাত ইউনিয়নের প্রকৃত হত দরিদ্রদের রাখা হয়নি। বিতর্কিত এনজিও প্রণীত এসব স্বজনপ্রীতির তালিকা অনুযায়ী বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ত্রাণ বিতরণে তোড়জোড় শুরু করেছে। তাই ‘আমরা পেকুয়াবাসী সংগঠন’ উক্ত তালিকা বাতিলকরণে নিম্নোক্ত কর্মসূচী ঘোষনা করেছে।
কর্মসূচী নিম্নরূপঃ
১। সুবিধাজনক সময়ে ইউএনওর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান ও প্রেরণ করা।
২। পেকুয়ার সাত ইউনিয়নের তালিকা বাতিল করণসহ পুনরায় মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাচাই করে প্রকৃত দরিদ্রদের অন্তর্ভূক্ত করণে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কক্সবাজার আঞ্চলিক প্রধান ও এসএআরপিভির আঞ্চলিক প্রধানকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা।
৩। সুবিধাজনক সময়ে পেকুয়া উপজেলা সদরে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করা।
৪। সুবিধাজনক সময়ে পেকুয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা।
তাই পেকুয়াবাসীদের স্বার্থে উপরোক্ত কর্মসূচী বাস্তবায়নে সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করেছে আমরা পেকুয়াবাসী সংগঠন।
পাঠকের মতামত: