নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় দু’স্বশস্ত্র ডাকাত দলের মধ্যে ব্যাপক গুলাগুলি হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের গুলাগুলিতে ডাকাত দলের শীর্ষ সদস্য মোহাম্মদ আলম প্রকাশ আলম (২৮) ডাকাত নিহত হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভোরে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১২ টি দেশীয় তৈরী বন্দুক ও ২৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ২ টার দিকে টইটং ইউনিয়নের দুর্গম গুদিকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো: আলম রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়া এলাকার মোহাম্মদ আবুল হোসেনের ছেলে।
পেকুয়া থানা সুত্র জানায়, আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ ৭ টি মামলা রয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক কামরুল আজম জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে টইটং ইউনিয়নের গুদিকাটা গ্রামে দুই ডাকাত দলের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায়।
এ সময় স্বশস্ত্র ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা গহীন অরণ্যের দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলাম, পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান, এএসআই মেজবাহ উদ্দিন সহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার ও এ ঘটনায় পেকুয়া থানা পুলিশ ১৯ নভেম্বর দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
লিখিত প্রেস নোট থেকে জানা গেছে, ওই ঘটনায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলাম। পুলিশ জানায়, ডাকাতরা অস্ত্র বেচাকেনার জন্য ওই স্থানে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে।
ওসি কামরুল আজম জানায়, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আলমের মরদেহ, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত: