মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় সামাজিক বনায়নে অবৈধ বসতি নির্মাণে দূর্বূত্তদের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক কিশোরীকে নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও কিশোরীর পরিবারের সদস্যদেরও পিঠিয়ে আহত করেছে দূর্বূত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে, আজ ৮ জুলাই ভোররাতে পেকুয়া উপজেলার পাহাড়ি টইটং ইউনিয়নের পূর্ব ধনিয়াকাটা লাইনের শিরা নামক দূর্গম পাহাড়ি গ্রামে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে এ ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে নির্যাতনের শিকার কিশোরীর পিতা ওই গ্রামের বাসিন্দা আকতার আহমদ অভিযোগ করে জানান, তিনি পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লাইনের শিরা এলাকায় বসবাস করছেন এবং তার বাড়ির সাথে লাগোয়া ২০০৫ সালের সামাজিক বনায়নের কিছু জায়গা সরকার ও বন বিভাগের স্বার্থে দেখভাল করছিলেন। ঘটনার দিন ৮ জুলাই ভোররাতে তার বাড়ির সাথে লাগোয়া সামাজিক বনায়নের জমিতে অবৈধ বসতি নির্মাণের জন্য গাছ, টিন ও শ্রমিক নিয়ে আসেন এলাকার একদল লোক। তিনি জানান, স্থানীয় চাকমার ঢুরি গ্রামের নজির আহমদের পুত্র জাকের হোসেন, ইসমাইলের পুত্র আবু তাহের, আবদুর রহমানের পুত্র আবুল কালাম, ধনিয়াকাটা গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র আহমদ ছবি প্রকাশ ধলাইয়া, নুর কাদেরের পুত্র আন্নর আলীসহ জনৈক মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে আরো কয়েক জন লোক লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার দখলীয় সামাজিক বনায়নের জায়গায় টিনের ছাউনি দিয়ে অবৈধ বসতি তৈরীর কাজ শুরু করলে তার পরিবারের সবাই সরকারী জায়গা দখল ঠেকাতে দূর্বূত্তদের বাধা প্রদান করেন। এসময় দূর্বূত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেসহ তার কিশোরী কন্যা কনিকাকে টানাহেছড়া করে শ্লীলতাহানি করে অকথ্য নির্যাতন চালায়। পরে ভোররাত থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত সামাজিক বনায়নের জায়গায় জোরকরে অবৈধ বসতি তৈরী করে দূর্বূত্তরা সটকে পড়ে।
কিশোরী কনিকা অভিযোগ করে জানান, সরকারী সামাজিক বনায়নে অবৈধ বসতি নির্মাণে বাধা দেওয়ায় তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে সংঘবদ্ধ দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরী কনিকা স্থানীয় প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, কিশোরী কনিকা ও তার পরিবারের উপর হামলা করে সামজিক বনায়নের জায়গায় অবৈধ বসতি তৈরী করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছে বন বিভাগ। অবৈধ বসতি নির্মাণের ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি।
এ বিষয়ে জানার জন্য বন বিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল গফুর মোল্লার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি অফিসের কাজে সোমবার সারাদিন চট্টগ্রামে ছিলেন। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন এবং সামাজিক বনায়নে নির্মিত ওই অবৈধ বসতি উচ্ছেদে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করবেন।
পাঠকের মতামত: