পেকুয়ায় বখাটে পুত্রকে পিতার অবাধ্য হওয়ায় পুলিশের হাতে তুলেন দিলেন পিতা। জানা যায় পিতা অভিযোগ দিয়ে গত ১ জুন রাতে পুলিশ নিয়ে গিয়ে সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী মাতবরপাড়া এলাকার যুবলীগ নেতা মোঃ ফরহাদুজ্জামান চৌধুরী তার বখাটে পুত্র মিকাতকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরদিন ২ জুন সকালে পেকুয়া থানা পুলিশ ধৃত বখাটে মিকাতকে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্টষ্ট আদালতে হাজির করে। পরে ভ্রামামান আদালত বসিয়ে উপজেলা নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রষ্ট মারুফুর রশিদ খাঁন বখাটে পুত্র মিকাতকে ২ মাসের কারাদন্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণের নিদের্শ দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশিদ খাঁন কারাদন্ড দেওয়ার সত্যতা জানান।
#################
পেকুয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
স্টাফ রিপোটার. পেকুয়া:
পেকুয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত ফোজদারী অপরাধের দায়ে ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিয়েছে। গতকাল ২জুন বৃহস্পতিবার ধৃতদের এ দন্ড দেয় মোবাইল কোর্ট। থানা সূত্র জানায়, গত ১জুন বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়া থানার এস.আই শাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশের টহলাভিযানকালে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের কুতুবপাড়া এলাকার মৃত আহমদ মিয়ার পুত্র মোঃ আব্বাস উদ্দিন প্রকাশ গাঁজা আব্বাস(৪০) ও একই ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া এলাকার ছৈয়দুল আলমের পুত্র জাহেদুল আলম(২২) নামের দু’ব্যক্তিকে গাঁজার পুড়িয়া সহ গ্রেপ্তার করেন। পরে, ধৃতদের দেহে তল্লাশী চালিয়ে ১০/১৫টি গাঁজার পুড়িয়া উদ্ধার করেন। অপরদিকে, পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে একইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী মাতবরপাড়া এলাকার যুবলীগ নেতা মোঃ ফরহাদুজ্জামান চৌধুরীর বখাটে পুত্র মিকাতকে পুলিশ আটক করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের স্থানীয় ভ্রাম্যমান আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খানের কোর্টে সৌপর্দ্দ করে পুলিশ। এসময় আদালত বখাটে পুত্রকে ২মাস, গাঁজা ব্যবসায়ী আব্বাসকে ১মাস ও অপর গাঁজাসেবী জাহেদুল আলমকে ১সপ্তাহের কারাদন্ড দিয়ে জেলহাযতে প্রেরণ করে। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
#################
শিলখালীতে শিশু গুলিবিদ্ধের ঘটনা ধামাচাপায় লুকোচুরি!
স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া:
পেকুয়া মিচ ফায়ারের গুলিবিদ্ধে শিশু আহতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া ৫নং ওয়ার্ডের সাপেরগাঁড়ার রাজার খোলা নামক এলাকায়। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ওই এলাকার মোঃ শাহ আলমের পুত্র মোঃ মনুর আলম নামের এক ব্যক্তি গত ২৮মে শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে তার কাছে রক্ষিত ত্রি কোয়ার্টার স্টাইলের দেশিয় তৈরী অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রে গুলি ভর্তি করে ট্রিগারে চাপ দেয়। এতে বন্দুকে রক্ষিত গুলি অসতর্কতা বশতঃ বিস্ফোরিত হয়ে প্রতিবেশি মোঃ নুরুল আমিনের ছেলের পেটে গিয়ে বিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ শিশুর নাম মোঃ শাকিব (১০)। বর্তমানে গুলিবিদ্ধ শিশুটিকে ঘটনায় জড়িত মনুর আলম নিজের জিম্মায় রেখে চিকিৎসা করাচ্ছেন। এদিকে, ঘটনাটি ধামাচাঁপায় সংশ্লিষ্টরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের চত্রচ্ছায়ায় নানা পাঁয়তারা লুকোচুরিতে মেতেছেন বলে জনশ্রুতি উঠেছে।
এবিষয়ে জানতে স্থানীয় শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হোছাইনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজী হননি। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া এখনো পর্যন্ত বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়নি জানিয়ে বলেন, বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এদিকে, গুলিবিদ্ধে শিশু গুরুতর আহতের ৫-৬দিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনা ধামাচাঁপা লুকোচুরিতে জনমনে নানা প্রশ্ন ছাড়াও চাঁপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পাঠকের মতামত: