এম.দিদারুল করিম, পেকুয়া :: কক্সবাজার পেকুয়ায় আমন ধান কাটা উৎসবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব উল করিম বলেছেন দেশে খাদ্য স্বনির্ভরতা অর্জনে কৃষি ফলন বৃদ্ধির বিকল্প নেই। আর এই লক্ষ্যা মাত্রা অর্জনে সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। আজ ২৮ নৃভেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় পেকুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত চলিত আমন মৌসুমের “ধানকাটা উৎসবে” তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন ১৯৭৪ সালে আমেরিকা থেকে দেশে যথাময়ে খাদ্য না পৌছানোর কারণে চরম দূর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। এর পর থেকে এদেশকে খাদ্য নির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কৃসকরা ফসল ফলানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে আমাদের দেশের কৃষকরাই খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বিশে^ অনেক এগিয়ে।
উপজেলা নির্বাহী কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় এর সভাপতিত্বে সিকদার পাড়া জাকের হোসেন চৌধুরী (মিয়া বাড়ী)’র পূর্ব পাশের্^ আয়োজিত ধান কর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেেেব উপস্থিত পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল আলম চৌধুরী, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মুরাদ চৌধুরী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইমাম হোছাইন, আমির উল্লাহ, মোহাম্মদ সামশুউদ্দিন, ছৈয়দ আলম ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নাজেম উদ্দিনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ স্থানীয় জন প্রতিনিধি, সার ও কীটনাশক ডিলার ও কৃষক-কৃষানীসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামশুউদ্দিন জানান, এই বছর আমন চাষে ব্যাপক ফলন হয়েছে। পুরো উপজেলা ৮হাজার ৪শত ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ধান উৎপাদন করা হয়। বিগত বছরের চাইতে চলিত মৌসুমে উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নে লবনাক্ত কৃষি জমিতে ১৬০ একর জমিতে বিনা-৮ ধান উৎপাদনে শতভাগ ফলন অর্জন হয়েছে। এই বছর এসব ইউনিয়নের লবনাক্ত এলাকায় বিনা-৮ ধান প্রতি হেক্টরে ৫ মেট্রিকটন ফসল উৎপাদন সক্ষম হয়েছে বলে জানান ওই ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষকরা। এদিকে লোকালয়ে চলছে নবান্নের উৎসব। সোনালী আমনের নতুন ধান ঘরে তুলতে আনন্দে মেত উঠেছে কৃষান-কৃষানিরা।
পাঠকের মতামত: