ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি ,চকরিয়া :: পেকুয়ায় মরজিনা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় নিহতের স্বামী দিদারুল ইসলামকে (২৮) আটক করে পেকুয়া থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৫জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকার শ্বশুর বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। স্বামী দিদারুল ইসলাম ওই এলাকার মানুনুল হকের ছেলে।

নিহত গৃহবধূ মরজিনা আক্তার পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের রব্বত আলী পাড়ার আশরাফ আলীর মেয়ে। তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তাদের সংসারে আব্দুল্লাহ মো. লাবিব নামের ১৬ মাস বয়সী এক শিশু সন্তান রয়েছে।

নিহতের পিতা আশরাফ আলী চকরিয়া নিউজকে বলেন, মরজিনা গত তিনদিন স্বামীসহ আমার বাড়িতে ছিলো। এসময় তার কোন ধরনের অসুস্থতা আমরা লক্ষ্য করিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্বশুর বাড়িতে ফিরে যায় সে। শুক্রবার সকালে আমাকে তার গুরুতর অসুস্থতার খবর দেয়া হয়। কিন্তু শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আমি তাকে মৃত দেখতে পাই। আমার মেয়ের নিথর দেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন ও নাকে ফেনা দেখতে পেয়েছি। এসময় বিষয়টি আমি পেকুয়া থানায় জানাই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও মরজিনার স্বামী দিদারুল ইসলামকে আটক করে।

নিহত মরজিনার মা শফিকা বেগম বলেন, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন চালাতো তার স্বামী ও শ্বাশুরী। মেয়ের সুখের জন্য কয়েকদফা টাকাও দিয়েছি। কয়েক মাস আগে যৌতুকের দাবীতে মরজিনাকে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা বৈঠকের পর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যায়।

দিদারুল ইসলামের পিতা মামুনুল হক বলেন, মরজিনাকে যৌতুকের জন্য কোন সময় নির্যাতন করা হয়নি। আমার পুত্রবধূ অনেক ভাল মেয়ে ছিলো। বৃহস্পতিবার রাতে বুক ব্যথায় ছটফট করতে করতে তার মৃত্যু হয়।

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, নিহত গৃহবধূর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

পাঠকের মতামত: