পেকুয়া প্রতিনিধি : উচ্চ শিক্ষার ঋণের নামে অর্থ হাতিয়ে নিলেন এনজিও সংস্থা ব্রাক পেকুয়া শাখার কর্মকর্তা আবদুল মোনাফ। এমনকি বিগত এক বছর আগে মেধাবী শিক্ষার্থীকে বিদেশ পাঠানোর জন্য ঋণ দেয়ার কথা বলে ৭০হাজার টাকা ও দুটি খালি ব্যাংক চেক আদায় করলেও তা ফেরত দেয়নি ওই কর্মকর্তা। এর প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার মনছফা বেগম নামের এক মা। তিনি পেকুয়া সরকারী হাসপাতালের জুনিয়র সেবিকা হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
সরকারী দপ্তরে পাঠানো লিখিত অভিযোগে জানা যায়, পেকুয়া সরকারী হাসপাতালের সেবিকা মনছফা বেগমের ছেলে মাশরাফী সরওয়ার হিরণ ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। এতে সে স্কলারশীপ নিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য কানাডায় যাওয়ার ভিসা প্রাপ্ত হয়। যার ব্যয়ভার শতকরা ৭৫ শতাংশ সরকার, বাকি ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর পরিবার বহন করতে হবে। ছেলেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য তাৎক্ষনিকভাবে ৫লাখ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় ভুক্তভোগী নারী পেকুয়া ব্রাক অফিসে ৫লাখ টাকার ঋণের আবেদন করেন। আবেদনের সাথে ছেলের উচ্চ শিক্ষার জন্য দেয়া মূল কাগজ, ব্যাংকের খালি চেক জমা দেন তিনি। পরে ঋণের টাকার জন্য যোগাযোগ করলে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করে তা আদায়ও করেন। ছেলের উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি টাকা দিতে বাধ্য হন। কিন্তু ঋণ দেওয়ার কথা বলে ১বছর পার করে ঋণ দেয়াতো দূরের কথা, জমা নেয়া কাগজপত্র ও খালি চেক ফেরত দেয়নি ওই কর্মকর্তা। যার কারণে ছেলের উজ্জল ভবিষ্যত ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মনছফা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাশরাফী সরওয়ার হিরণ খুবই মেধাবী। ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। এরপর ব্রিটিশ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য কানাডায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে। যার ব্যয়ভার হিসাবে আমাকে ৫লাখ টাকা বহন করতে হয়। অল্প বিতনের চাকরি আর স্বামী না থাকায় কষ্টের সংসারে টাকার জন্য সদস্য হিসাবে ব্রাক ফিল্ড কর্মকর্তা আবদুল মোনাফের বরবার লিখিত আবেদন করে সমস্ত কাগজপত্র জমা করি। একপর্যায়ে টাকা দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে। ১বছর গত হলেও ব্রাক কর্মকর্তা আমাকে ঋণও দেয়নি টাকা ও কাগজপত্র ফেরত দেয়নি। আমার মেধাবী ছেলের উচ্চতর লেখাপড়ার সুযোগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে বিভিন্ন দপ্তর ও জেলা আ’লীগ সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এব্যাপারে আমি ব্রাকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা দপ্তর ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পাঠকের মতামত: