পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকায় আশংকাজনকহারে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। লবণ ও মৎস্য বেষ্টিত এ বেশিরভাগ এলাকায় চোরের উপদ্রুব বৃদ্ধি এলাকায় চোরের উপদ্রুব বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ জনগন থেকে শুরু করে সচেতন নাগরিক, ক্ষুদ্র ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা চরম আতংকে ভোগছে। এছাড়াও লাখ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় নি:স্ব হচ্ছে সাধারণ জনগন। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যেদের নেতৃত্বে গ্রামের লোক বিভিন্ন এলাকায় পাহারা বসালেও সংঘবদ্ধ চোরের দল কৌশলে চুরি অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় সমাজ সর্দ্দার আবুল কাশেম, রিদুয়ানুল হক, মো: ইউনুস, মাষ্টার শওকত ও মাষ্টার শহিদুল জানান, রাজখালী ইউনিয়নের টেক ঘোনা এলাকার জামাল উদ্দিনের পুত্র হাবিবুর রহমান প্রকাশ মিয়ার নেতৃত্বে একদল চোর সিন্ডেকেট এলাকায় চরম আতংক হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের নিত্যদিন চুরির ঘটনায় লাখ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মোখিন হচ্ছি আমরা। আমরা তাদের ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিভিন্ন সময় অভিযোগ দায়ের করেছি।
তারা আরো জানান, রাজখালী ইউনিয়নের টেক ঘোনা এলাকার জামাল উদ্দিনের পুত্র হাবিবুর রহমান প্রকাশ মিয়ার নেতৃত্বে মো: আজিজসহ সংঘবদ্ধ ১৫/২০ জনের একদল চোর সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত বসতবাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা মাঝির পাড়ার মো: কালুর পুত্র মাষ্টার শহিদুলের বাড়ি থেকে মিয়ার নেতৃত্বে একটি চোর সিন্ডিকেট সৌর বিদ্যুৎ ও নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে মাষ্টার শহিদুল বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেরিপেক্ষিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, এমইউপি বাদশা, এমইউপি আজম উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চোরাই মাল উদ্ধার করে। পরে থাকে বার বার নোটিশ দিয়ে ইউপি কার্যালয়ে হাজির করা যায়নি। এছাড়াও স্থানীয় সমাজ সর্দ্দার আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে কবুতর চুরি, মালেকের লবণ মাঠের কাগজ চুরি, নওশা, ছাবের, জিয়াবুল, কবির, মাছুর ও আবদুর বসতঘর থেকে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়াও হাবিবুর রহমান মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৯নং ওয়ার্ডের এমইউপি মো: বাদশা মিয়া জানান, হাবিবুর রহমান মিয়া ও তার ভাই হাবিবুলাহ নেতৃত্বে কয়েকজন চোর প্রতিনিয়ত এলাকায় বিভিন্ন মানুষের মালামাল চুরি করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এলাকাবাসী তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমরা ইতিমধ্যে সকল ইউপি সদস্যেদের নিয়ে এলাকায় চুরি ঠেকাতে বৈঠক করেছি। স্থানীয় থানা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে তাদের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা ও অস্ত্র বিকিকিনির অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর আরো সোচ্ছার হওয়া দরকার।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর জানান, জামাল উদ্দিনের পুত্র হাবিবুর রহমান মিয়া ও হাবিবুলাহর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অহরহ লিখিত অভিযোগ। সরোজমিন কয়েকবার এলাকায় গিয়ে তাদের চুরি না করার জন্য বারণ করা হয়েছে। তারপরও তারা সাধারণ জনগনের মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা ইউপি কার্যালয়ে বৈঠক বসেছি। এলাকার আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে পেকুয়া থানার ওসি সাহেবের নেতৃত্বে তাদের ব্যাপারে কঠোর প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
####################
পেকুয়ায় দু মাদক ব্যবসায়ীকে সাজা
নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া: :
পেকুয়ায় মাদক আইনে দু’সহোদরকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। থানার এ.এস.আই মোঃ নাজির জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক পৃথক অভিযানে ১২লিটার চোলাই বাংলা মদ নিয়ে মোঃ রাশেল(২৪) ও ২টি ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তার সহোদর বড়ভাই মোঃ জয়নাল(২৭)কে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৌলভীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা ওই এলাকার মৃত রাজা মিয়ার পুত্র। এঘটনায় চোলাই মদ নিয়ে আটক জয়নালের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। যার মামলা নং-১২/১৬। অপরদিকে, ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আটক জয়নালকে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মারুফুর রশিদ খানের আদালতে প্রেরন করা হলে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট ১মাস দন্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। থানার এ.এস.আই মোঃ নাজির এ প্রতিবেদককে আরো জানিয়েছেন, একইদিন রাতে অভিযান চালিয়ে উত্তর মেহেরনামা এলাকার শাহেদের পুত্র মুজাহিদকে ২০১১ সালের মামলার ওয়ারেন্টমুলে গ্রেপ্তার পূর্বক জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মারুফুর রশিদ খান ও অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পাঠকের মতামত: