স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :
চকরিয়ার পালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক ও বিভক্ত ম্যানেজিং কমিটির কারণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, সদ্য এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ২০৯জন পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১০১জন, অকৃতকায হয়েছে ১০৮জন। খারাপ ফলাফলের কারণে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কোন মাথা ব্যাথা নেই। চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী পালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে চলা এই অচলাবস্থা কোনদিন শেষ হবে কেউ জানে না। একাধিক অভিভাবক ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অদক্ষতার কারণে প্রতি বছর এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যয় হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে গোপনে নির্বাচন দিয়ে অবৈধভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কমিটি গঠনসহ নানা কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় সুশীল মহল ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা দাবি করছেন নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি দেওয়ার। বর্তমানে পালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কেএম ছালাহউদ্দিন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের দাতাও। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। কেএম ছালাহউদ্দিন ১৯৯৫সালের পর থেকে কয়েক দফায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭০সালে প্রতিষ্ঠিত পালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৪ এমপিও ও ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে দুইটি গ্রুপ। একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার তেমন উন্নতি না হলেও একটি পক্ষ লাভবান হচ্ছেন। এতে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখন গাড়িতে আছি পরে বিস্তারিত সাক্ষাতে কথা বলব।
বক্তব্য নিতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কেএম সালাউদ্দিনের ব্যবহারিত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, পালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ফলাফল বিপর্যয়ের ঘটনা স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিষয়টি তার জানা নেই।
পাঠকের মতামত: