ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

সবুজ সংকেত পেয়ে মাঠে ইব্রাহিম

নৌকা প্রতীক ছাড়াই চকরিয়া-পেকুয়া আসনের নির্বাচন!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: শেষ পর্যন্ত নৌকা প্রতীক ছাড়াই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কক্সবাজার-১ আসনে। এই আসনে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অংশ গ্রহণ করলেও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি আইনী জটিলতায় আটকে রয়েছে।

ফলে সালাহউদ্দিন আহমদের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন অংশ গ্রহণ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। তবে এই নির্বাচনে সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম। সবুজ সংকেত পেয়েই নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন ইব্রাহিম।

এদিকে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ৯জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য সালাহউদ্দিন মাহমুদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আওয়াল মামুন। আবদুল আওয়াল মামুন চকরিয়া-পেকুয়া আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও কক্সবাজার-৩ আসনে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন।

নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন ৭জন প্রার্থী, তারা হলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ জাফর আলম তার পুত্র তানভির আহমদ সিদ্দিকী তুহিন, ওয়ার্কাস পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য হাজী বশিরুল আলম, জাতীয় পার্টির হোসনে আরা, ইসলামী ফ্রন্টের বেলাল উদ্দিন। এসব প্রার্থীদের মাঝে আজ ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । প্রতিক পাওয়ার পর পরই প্রচার প্রচারণায় নেমে পড়েছেন এসব প্রার্থীরা।

জানা যায়, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি। ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে ঋণখেলাপীর অভিযোগ এনে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে দেন কক্সবাজার রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান। এরপর তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। ১০ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে আপিল শুনানী করে ১৫ ডিসেম্বর অর্ডারের জন্য দিন ধার্য্য করেন।

পরে সালাহউদ্দিন আহমদের ঋণখেলাপী সংক্রান্ত একটি মামলার আদেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট। ওই আদেশের কারণে নির্বাচন কমিশন সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নটি বাতিল আদেশ বহাল রাখেন।

এরফলে আইনী জটিলতা আটকে যায় তার মনোনয়ন। আজ থেকে অন্যান্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু ক্ষমতাসীন পার্টির আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভোটের মাঠে নামতে পারছে না। কঠিন সমীকরণে রয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি। আগামী নির্বাচনে তার অংশ গ্রহণ অনিশ্চিতার মধ্যে রয়েছে। তবে ভোটের আগ মুহুর্তে সালাহউদ্দিনের মনোনয়নটি ফিরে পাবেন এমনটা আশা করেন তার সমর্থকরা।

একাধিক সুত্র জানায়, কক্সবাজার-১ আসনে (চকরিয়া-পেকুয়া) বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে তিনি হাতঘড়ি প্রতীক নিয়ে এ আসনে প্রতিদ্বদ্বীতা করবেন। এরইমধ্যে ইব্রাহিমকে সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বলে তার সমর্থক লোকজন বলছেন।  সংকেত পেয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন কল্যাণ পার্টির নেতা।

ইতোমধ্যে ১৬ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তিনি মতবিনিময় সভা করেছেন। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বিতা করার বার্তা দিয়েছেন।

সালাহ আহমদ সিআইপির ঘনিষ্টজন আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার আলম জানান, প্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপির মনোনয়ন নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাতিল হওয়ার পর ১৮ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আমরা এখনো আশাবাদী। আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে চকরিয়া-পেকুয়াবাসীর কাছে নৌকা নিয়ে তাকে ফিরে পাবো।

পাঠকের মতামত: