বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়া ৬২ জেলে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন। গত ১৬ আগস্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কারণে তারা নিখোঁজ হন। বাংলাদেশ নৌবাহিনী তাদেরকে দেশে ফেরত এনেছে। মাছ ধরার নৌকা ‘আল্লাহর দান’ ও ‘ফরহাদ’ এবং জেলেদের সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টের উপকূলে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলেদের হস্তান্তরের বিষয়টি কোষ্টগার্ড বাগেরহাট পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. এম ফরিদুজ্জামান খান ও মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে জেলেদের নিখোঁজের পরপরই অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ, টহল বিমান, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জাহাজ ও হাইস্পিড বোট এবং ভারতীয় কোস্টগার্ড জাহাজ ও টহল বিমান।
এ বিয়য়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি ৬২ জেলে ও দু’টি মাছ ধরার নৌকা ‘আল্লাহর দান’ এবং ‘ফরহাদ’কে ভারতের জলসীমা থেকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ প্রত্যয় ও কপোতাক্ষ। এরআগে ভারতীয় সমুদ্রসীমায় সে দেশের কোস্টগার্ড জাহাজ রাজকিরণ বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ প্রত্যয়ের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। এছাড়া আরও দু’টি মাছ ধরার ট্রলার ‘মা গঙ্গা’ ও ‘নাঈম’ এবং ৪ জেলেসহ মেরামতের জন্য বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছে। প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে ওই দুটি ট্রলারকে শিগগিরই বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
আইএসপিআর আরও জানায়, উদ্ধারকৃত ফিশিং ট্রলার ‘আল্লাহর দান’ এ থাকা ১৫ জন জেলের অধিকাংশের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়। ট্রলারটির মালিক সিরাজ সওদাগর। ‘ফরহাদে’ থাকা ১৬ জেলের বেশির ভাগ সদস্যের বাড়ি কক্সবাজার এবং লক্ষ্মীপুরে। এ ট্রলারের মালিক কাইয়ুম সওদাগর। ট্রলার ‘নাহিনে’ ছিল ১৮জন জেলে। এর মালিক আলহ্বাজ সাবের কোম্পানি। ট্রলার মা গঙ্গায় ছিল ১৭ জন জেলে যার মালিক রাধে শ্যাম।
প্রসঙ্গত, মাছ ধরার নৌকাগুলো গত ১৬ আগস্ট যান্ত্রিক জটিলতার কারণে ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়ে। পরে ভারতীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্টগার্ডের নিকট হস্তান্তর করে। বাংলাদেশি জেলেরা ভারতীয় কোস্টগার্ড ঘাঁটি ফ্রাজেরগঞ্জে অবস্থান করছিল। সেখানে জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পাঠকের মতামত: