জাকের উল্লাহ চকোরী, কুতুবদিয়া(কক্সবাজার) থেকে : বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণপ্রান্তের জেলা কক্সবাজারের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সাগর কন্যা কুতুবদিয়া ও স্বর্ণদ্বীপ মহেশখালী অচিরেই হবে জাতীয় অর্থনীতির ধন ভান্ডার। আজ শনিবার বিকালে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন কুতুবদিয়া সফর কালে এ কথা বলেন। ওইদিন বিকালে তিনি কুতুবদিয়া দ্বীপে আসেন এবং উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারকে ঘিরে যে সব মেগা প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন এ সব প্রকল্প গুলো নিদৃষ্ট সময়ে সম্পন্ন হলে এখান কার অর্জিত আয় দিয়ে বাংলাদেশকে স্বনির্ভর দেশ হিসেবে রূপান্তরিত করা যাবে। বিদেশ থেকে আর আমাদের সাহায্য চাইতে হবে না। বর্তমানে লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে তৎমধ্যে অন্যতম হচ্ছে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্র বন্দর, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন প্রকল্প কুতুবদিয়া দ্বীপে এলএনজি ট্রার্মিনাল,কক্সবাজার -টেকনাফ পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করণ, টেকনাফ সীমান্তে সীমান্ত রক্ষাবাঁধ অন্যতম। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের চেহেরা পাল্টে যাবে। তিনি কুতুবদিয়া সফর কালে কুতুবদিয়া বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প, কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত, কুতুবদিয়া বাতিঘর ও কুতুবদিয়ার অন্যতম পীর মরহুম আবদুল মালেক কুতুবী(রা:) মাজার পরিদর্শন করেন ও মাগরিবের নামাজ আদায় করেন কুতুব শরীফে।
কুতুবদিয়া বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন কালে ইনকিলাব সম্পাদকের কাছে স্থানীয় জনগন অভিযোগ করেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প কুতুবদিয়াবাসীকে এক ঘন্টার জন্যও বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারে না। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন। কুতুবদিয়া সৈকত পরিদর্শন কালে এলাকাবাসী সম্পাদকের কাছে অভিযোগ করেন, ২ বছর আগে কুতুবদিয়াকে রক্ষার জন্য শতকোটি টাকার প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও ঠিকাদারের অবহেলার কারণে এ কাজ এখনো শেষ হয়নি। তিনি গভীর সমুদ্রের বিদেশী ও দেশী জাহাজের রাতের বেলায় দিক নির্দেশানার জন্য যে বাতিঘরটি রয়েছে তার বেহাল অবস্থা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামালের সাথে এ দু’দ্বীপের উন্নয়নের ব্যাপারে কথা বললে ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন সরেজমিনে কুতুবদিয়া দ্বীপ পরিদর্শনে আসেন। ইনকিলাব সম্পাদক আরো জানান, আগামী শীত মৌসুমে ইনকিলাব সম্পাদককে সাথে নিয়ে অর্থমন্ত্রী কুতুবদিয়ার উন্নয়ন কাজ গুলো সরেজমিনে পরিদর্শনে আসবেন। ইনকিলাব সম্পাদকের সাথে আইটি সেক্টরের প্রধান সৈয়দ এ রহমান গালিব, ইনকিলাবের কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা জাকের উল্লাহ চকোরী, জমিয়তের কুতুবদিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ইনকিলাবের কুতুবদিয়া উপজেলা সংবাদদাতা হাসান কুতুবী, বাংলাদেশের খবরের চকরিয়া প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম খোকন, স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ ইনকিলাব সম্পাদকের সাথে ছিলেন। তিনি কুতুবদিয়া যাবার পথে পেকুয়া উপজেলার কবির আহমদ চৌধুরীর বাজারের রাস্তায় দু’ পার্শ্বে টমটম, সিএনজি, রিক্সাসহ বিভিন্ন গাড়ির যানজট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কুতুবদিয়া যাওয়ার পথে একটি সড়কে দু’ মিনিটের পথে ভিআইপিদের আধঘন্টা যানজটে পড়তে হয় তা হচ্ছে প্রশাসনের ব্যর্থতা।
এ ব্যাপারে তিনি থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। পরে তিনি কুতুবদিয়া দ্বীপের উন্নয়নের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরবেন বলে জানান।
পাঠকের মতামত: