দাঁত ব্রাশ না করার অপরাধে মায়ের ক্রমাগত লাথিতে নোহেলি আলেকজান্দ্রা মার্টিনেজ হার্নান্দেজ নামে এক কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মা আইরিস হার্নান্দেজ রিভাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের গ্রেইথার্সবার্গে গত মাসে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে ৪ বছর বয়সী নোহেলির। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদেনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রথমে অবশ্য মা রিভাস জানান, তার মেয়ে গোসলের জন্য বাথরুমে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট পরে তিনি গিয়ে দেখেন মেয়ে বাথরুমে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে মা রিভাসই নোহেলিকে হত্যা করেছে।
পুলিশ জানায়, মেয়ের এমন অবস্থায়ও মা প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ৯১১ ফোন করে সাহায্য চান। পরে গুরুতর আহত নোহেলিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা দেখতে পান, নোহেলির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন এবং মাথা গুরুতর জখম।
এরপর চিকিৎসকরা নোহেলিকে ওয়াশিংটন ডিসির জাতীয় শিশু কেন্দ্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বাবা হার্নান্দেজ রিভাস মেয়েকে সেখানে ভর্তি করেন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার নোহেলির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, মেয়ে ব্রাশ না করায় রাগান্বিত হয়ে মা রিভাস তার তলপেটে অন্তত ২০টি লাথি মারেন।
আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী স্বীকার করেন, তিনি নোহেলির মাথায় আঘাত করেন। এরপর সে পড়ে গেলে আবারও উঠিয়ে লাথি দিলে দেয়ালে গিয়ে মাথা লাগে।
রিভাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণীর শিশু নির্যাতন আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :::
পাঠকের মতামত: